চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
জানুয়ারি ২৪, ২০২৩, ০৭:৩৫ পিএম
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
জানুয়ারি ২৪, ২০২৩, ০৭:৩৫ পিএম
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বিকাল ৪ টার সময় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার ও এস এফ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সনজু আহমেদ ও দৈনিক আমার সংবাদ এর রিপোর্টার মো. আব্দুল্লাহ হককে মারধোর করেন বিআরটিএর মেকানিক্যাল এসিস্ট্যান্ট ওবাইদুর রহমান ও তার সঙ্গীরা।
বিআরটিএ অফিসে সীমাহীন অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদ সংগ্রহের সময় ওই ২ সাংবাদিককে কলার ধরে টেনেহিঁচড়ে পেটায় বিআরটিএর মেকানিক্যাল এসিস্ট্যান্ট ওবাইদুর রহমান ও তার সঙ্গীরা।
এরপর পুলিশের সহায়তায় বিষয়টি নিস্পত্তি করার চেষ্টা করেন ওই বিআরটিএ কর্মকর্তা। কিন্তু কোন নিষ্পত্তিতে না যেয়ে সঞ্জু আহমেদ চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন এবং এর সুষ্ঠু বিচার দাবি চেয়েছেন কর্তৃপক্ষের কাছে। বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য একাধিক মহল থেকে তাকে চাপাচাপি করে। নিউজ প্রকাশ হলে প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত দেখায় । সঞ্জু লিখিত অভিযোগ করায় পরবর্তীতে ওবায়দুর রহমান চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় সাংবাদিকের নামে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে এনে মিথ্যা অভিযোগ করার হুমকি দিচ্ছে এ বিষয়ে ওবায়দুর রহমানের সাথে ফোনে কথা বলা হলে তিনি বলেন অফিসের ভেতরে ভিডিও করার কোন অনুমতি নাই। আমার কাছে না জেনেই ভিডিও করায় আমি তাকে ধাক্কা দিয়েছি আর উনি যে সাংবাদিক তা আমার জানা নাই। তবে বিষয়টি মীমাংসের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য সোমবার বিকাল ৪ টার সময় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার ও এস এফ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সনজু আহমেদ ও দৈনিক আমার সংবাদ এর রিপোর্টার মো. আব্দুল্লাহ হককে, ও ভুক্তভোগী মো. আব্দুল্লাহ হক সহ কয়েকজনের ২০১৯ সালে ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া ফাইল হারিয়ে গেছে এমন অভিযোগের বিষয়ে বিআরটিএ অফিসে খবর নিতে যায় সাংবাদিক সনজু ও ভুক্তোভোগী মো. আব্দুল্লাহ হক সহ কয়েকজন। তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে বিআরটিএর সহকারী পরিচালক সৈয়দ আইনুল হুদা বিআরটিএ এর কর্মচারী মো. ওবায়দুর রহমানের কাছে পাঠিয়ে দেয়। এ বিষয়ে বিআরটিএর মেকানিক্যাল এসিস্ট্যান্ট ওবাইদুর রহমান এর কাছে ড্রাইভিং লাইসেন্সের তথ্য জানতে চাইলে তিনি অশ্লীল বাক্য ব্যবহার করেন। এ সময় এম সনজু আহমেদ এর হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি কোন কারণ ছাড়া কেড়ে নেয়। একপর্যায়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি আবারো শুরু করে এই কর্মকর্তা। এ সময় ভদ্র ভাষায় কথা বলার জন্য অনুরোধ করা হলে তিনি তার আসল রূপ অর্থাৎ ক্ষমতা দেখানো শুরু হয় সন্জু ও মো. আব্দুল্লাহ হকের জামার কলার চেপে ধরে কিল ঘুষি মারেন। তাৎক্ষণিক ভাবে সন্জু অন্যান্য গণমাধ্যম কর্মীদের জানালে গণমাধ্যম কর্মীরা বিআরটিএ অফিসে ছুটে আসলে অন্যরকম রূপ নেয়াতে তাৎক্ষণিকভাবে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পুলিশ উপস্থিত হয় এবং বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা করে।
এ বিষয়ে সাংবাদিক সনজু আহমেদ বলেন চুয়াডাঙ্গা বিআরটিএ অফিসের অনিয়মের বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে বিআরটিএর মেকানিক্যাল এসিস্ট্যান্ট ওবাইদুর রহমান আমার উপর চড়াও হন এবং মারপিট করেন আমি চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি, থানায় অভিযোগ দেওয়ায় বিআরটিএ মেকানিকাল এসিস্ট্যান্ট ওবাইদুর রহমান আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ দায়ের করার চেষ্টা করছেও আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য কোনভাবে যেন থামানো যাচ্ছে না চুয়াডাঙ্গার বি আর টি এর কর্মকর্তাদের বেসামাল রাজত্ব। আর এই সমস্যা থামবেই বা কেন কারণ সমস্যার মূলে যেখানে রয়েছে স্বয়ং কর্মকর্তারা নিজেই। সরিষার ভিতর ভূত থাকলে সেটা বাছাই করা আসলেই কষ্টসাধ্য। আর এই দুঃসাধ্য সাধন করবেই বা কে ?
গত ৬ মাসের ভেতরে চুয়াডাঙ্গা বি আর টি অফিসে দুর্নীতির বিরুদ্ধে পাঁচটি নিউজ হওয়া সত্বেও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের । এক একটা নিউজ হয় আর এক একটা হুংকার ছাড়তে থাকে একই অফিসে ৬ বছর চাকরি করতে থাকা ওবায়দুর রহমান (মেকানিক্যাল এসিস্ট্যান্ট)।
আরএস