বরিশাল ব্যুরো
জানুয়ারি ৩০, ২০২৩, ০৭:০৭ পিএম
বরিশাল ব্যুরো
জানুয়ারি ৩০, ২০২৩, ০৭:০৭ পিএম
বাড়ি নির্মানের বিষয়ে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন থেকে প্লান পাশ করিয়ে দেয়ার নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে নির্ধারিত ফি’র থেকে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে আকাশ নামের এক প্রতারককে আটক করে পুলিশে সোপার্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি বিসিসির কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে অতিরিক্ত অর্থ গ্রহন করা ওই প্রতারকের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার আকাশ চন্দ্র দাস বরিশাল মেট্রোপলিটনের এয়ারপোর্ট থানাধীন ইছাকাঠী এলাকার বাবুল চন্দ্র দাসের ছেলে। মামলার বাদী সিটি কর্পোরেশনের স্থপতি শাখার মো. হাসিব মাহমুদ টিপুর দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার আকাশ চন্দ্র দাস “নীড় ডিজাইন” নামক ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্মের নাম ব্যবহার করে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন হতে বাড়ি নির্মাণের প্লান পাশের কাজ করে থাকে। যার ধারাবাহিকতায় আকাশ চন্দ্র দাস বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকে ল্যান্ড ইউজার সার্টিফিকেট (এলইউসি) এবং বাড়ি নির্মানের প্লান পাশ করানোর কথা বলে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে নির্ধারিত ফি’র থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের লক্ষ্যে প্রতারণা করে আসছে।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে সিটি কর্পোরেশনের এনেক্স ভবনের তৃতীয় তলার প্লান শাখায় বরিশাল নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের নজরুল সড়কের বাসিন্দা নিয়াজ খান তার বাবা ও মায়ের নামে যৌথ বাড়ির প্লান পাশ ও এলইউসির জন্য আসেন। ওই সময় প্রতারক আকাশ চন্দ্র দাস প্লান ও এলইউসি পাশ করিয়ে দেয়ার জন্য নিয়াজ খানের কাছ থেকে নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত ২৭ হাজার টাকা নেয়। যে টাকা মামলার বাদী, টাউন প্লানার, সার্ভেয়ার, সিটি করপোরেশনের মেয়রের একান্ত সচিব মোস্তফা জামানকে দিতে হবে বলে জানায়।বিষয়টিতে নিয়াজ খানের সাথে সন্দেহ হলে তিনি মামলার বাদী স্থপতি শাখার মো. হাসিব মাহমুদ টিপুকে জানায়। তাৎক্ষনিক বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে আকাশ চন্দ্র দাসকে আটক করেন স্থপতি শাখার কর্মকর্তরা।
স্থপতি শাখার কর্মকর্তারা জানান, আটকের পর আকাশ চন্দ্র দাসকে মেয়রের সামনে হাজির করা হয়। তখন সে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে, অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে প্রতারণাপূর্বক অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি। আর এর মাধ্যমে সিটি কর্পোরেশন ও মেয়র সেরনিয়বাত সাদিক আব্দুল্লাহর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করাসহ মানহানি করে আসছিলো প্রতারক আকাশ। পরবর্তীতে আকাশকে থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয় এবং মামলার জন্য লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়।
এদিকে এ ঘটনার পর একাধিকবার ফেসবুক লাইভে এসে নগরবাসীকে সতর্ক করেন। এসময় তিনি প্লান পাশে কোন টাকার প্রয়োজন হয় না জানিয়ে বলেন, নিয়মানুযায়ী জেনুইন কাগজ থাকলে আপনাদের প্লান পাশ হবে। কাউকে প্ল্যান পাশের নামে কোন টাকা দিলে সিটি করপোরেশনের কোন দায় থাকবে না। পাশাপাশি জনগনকে হয়রানি রোধে প্রয়োজনে সিটি কর্পোরেশন থেকে প্লান নির্মানের প্রকৌশলী নিয়োগ দেয়ার কথাও বলেন তিনি।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, প্রতারণা মামলার আসামী “নীড় ডিজাইন” নামক ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্মের প্রকৌশলী পরিচয় দেয়া আকাশ চন্দ্র দাস (৩০) কে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলা হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আরএস