উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নারী ইউপি সদস্যকে জুতা পেটার অভিযোগ

বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়ালের বিরুদ্ধে চরবানিয়ারি ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী (৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড) ইউপি সদস্য কবিতা রানাকে জুতা পেটা করার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, উপজেলা চেয়ারম্যান ওই রানাকে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনেরও প্রস্তাব দিয়েছেন এমন দাবি কবিতা রানার।

এসব ঘটনার বিচার চেয়ে সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে বাগেরহাট জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী নারী ইউপি সদস্য কবিতা রানা।

নারী ইউপি সদস্য কবিতা রানা বলেন, চরবানিয়ারি ইউনিয়নে মোট ১৬৮টি ভিজিডি কার্ড এসেছে। এর মধ্যে চেয়ারম্যান অর্চনা দেবি মন্ডল নিয়েছে ৮৪টি। আমার ৩ ওয়ার্ডের জন্য দিয়েছে মাত্র ৬টা কার্ড দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ২টি কার্ড চেয়ারম্যান কেটে দিয়েছেন।

সর্বশেষ ২৩ জানুয়ারি বেলা ১১টার দিকে পরিষদের নির্ধারিত সভায় চেয়ারম্যানের কাছে ২টি কার্ড বাতিলের কারণ জানতে চাই। এটা জানতে চাইলে, চেয়ারম্যান অর্চনা দেবী বড়াল ও তার স্বামী চিতলমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল আমার উপর হামলা চালায়। আমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল আমাকে জুতা পেটা করে।

তিনি আরও বলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল এর আগে আমাকে কু-প্রস্তাব দিয়েছিল। এটা মানি নাই, তার কারণে আমার কার্ড দুটি কেটে দিয়েছেন। উপজেলায় গিয়ে আরও চারটি কার্ড কেটে দেওয়ার হুমকী দিয়েছেন। এছাড়া আমাকে পরিষদে ঢুকতেও নিষেধ করেছেন অশোক কুমার বড়াল।

চিতলমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল বলেন, আমি ইউপি সদস্য কবিতা রানাকে জুতা পেটা করিনি। আমি শুধু জুতা খুলে মারার কথা বলেছি। এছাড়া যে অনৈতিক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তিনি আরও বলেন, সে (ইউপি সদস্য) যেহেতু আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে, তা তদন্ত হবে। ডিসি, ডিডিএলজি আসবেন। তদন্তে সত্যতা পেলে যা হয় হবে।

স্থানীয় সরকার বিভাগ, বাগেরহাটের উপ-পরিচালক মোঃ শাহিনুজ্জামান বলেন, চিতলমারী উপজেলা পরিদর্শনে গেলে, একজন নারী ইউপি সদস্য আমাকে মৌখিক ভাবে উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছিল। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কেএস