ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩, ০১:৫৭ পিএম
বর্তমান নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচিত করতে মেহেরপুরের গাংনী মহিলা ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আয়োজনে প্রথমবারের মতো কলেজ চত্বরে উৎসবমুখর পরিবেশে বাহারি পিঠার স্বাদ-গন্ধ নিয়ে শুরু হলো পিঠা উৎসব। কলেজের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণের স্টলে স্টলে পিঠার পসরা সাজিয়ে চলছে বিকিকিনি। বাহারি রঙের সঙ্গে বৈচিত্র্যময় ডিজাইন ও নকশায় অনন্য হয়ে উঠেছে এক একটি পিঠা। বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্য পিঠাপুলির সঙ্গে সেলফি তুলে পিঠা কেনা ও খাওয়ার দৃশ্যকে স্মৃতিময় করে রাখার চেষ্টাও লক্ষণীয়।
পিঠা উৎসবে নিজস্ব নামকরণে ২৪ টি স্টল স্থান পেয়েছে। আবহমান বাংলার এ ঐতিহ্যকে দেশ ও বিশ্বের দরবারে ছড়িয়ে দিতে সংবাদকর্মীদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে এ পিঠা উৎসব। এ সময়ের মধ্যেই বিচারক মন্ডলী প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারকারী স্টলের ঘোষণা ও পুরস্কৃত বিতরণ করেন।
এসব পিঠার মধ্যে মালাই পিঠা, পটল পিঠা, ডাল পিঠা, বিস্কুট পিঠা, শামুক পিঠা, গোপাল ভোগ পিঠা, ডাল পুরি পিঠা, ডিমের রোল পিঠা, কামরাঙ্গা পিঠা, দুধ পিঠা, মুঠি পিঠা, কলা পিঠা, খেজুর পিঠা, ক্ষীর কুলি, গোকুল পিঠা, গোলাপ ফুল পিঠা, পুলি পিঠা, পাতা পিঠা, পাটিসাপটা, পাকান পিঠা, নারকেলের সেদ্ধ পুলি, তেলের পিঠা, চাঁদ পাকান পিঠা, ঝুরি পিঠা, ছাঁচ পিঠা, দুধ চিতই, ভাঁপা পিঠা, চিতই পিঠা,মাছ পিঠা, ঝাল পিঠা, নকশি পিঠা,ক্ষীর পিঠা, উল্লেখযোগ্য।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে কলেজ প্রাঙ্গন মাঠে দিনব্যাপী এ পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন গাংনী মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ খোরশেদ আলম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাকসহ কলেজের শিক্ষক মন্ডলী, ছাত্রী, এলাকার নেত্রীস্থানীয় ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
আরএস