Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪,

তুমব্রু থেকে রোহিঙ্গাদের সরানো শুরু

মো. মাসুম বিল্লাহ

ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৩, ০৪:০৯ পিএম


তুমব্রু থেকে রোহিঙ্গাদের সরানো শুরু

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু থেকে রোহিঙ্গা সরিয়ে নেয়া শুরু হয়েছে। রোববার (৫ জানুয়ারি) সকাল থেকে এ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়।

প্রথম দিন ৩৫ পরিবারের ১৮০ জন রোহিঙ্গাকে সরিয়ে আনা হয়েছে কুতুপালং রেহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন ট্রানজিট ক্যাম্পে। এসব তথ্য জানিয়েছেন, কক্সবাজারস্থ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। 

তিনি জানান, সরিয়ে আনা রোহিঙ্গাদের মধ্যে ২৩পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ক্যাম্পে নিবন্ধিত আর ১২ পরিবার অনিবন্ধিত রয়েছে। ওখানে মোট ১৮০ জন রোহিঙ্গা থাকলেও কত নিবন্ধিত আর কত জন অনিবন্ধিত তার সঠিক সংখ্যা জানাতে পারেননি তিনি।

মিজানুর রহমান জানান, এদের ট্রানজিট ক্যাম্পে রেখে আবারও যাচাই বাছাই করা হবে। পরে যে যে ক্যাম্পে নিবন্ধিত রয়েছে ওই সব পরিবারকে স্ব স্ব ক্যাম্পে পাঠানো হবে। অনিবন্ধিত রোহিঙ্গার ব্যাপারে পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। রোববার থেকে শুরু হওয়া এ প্রক্রিয়ায় পর্যায়ক্রমে সকল রোহিঙ্গাদের তুমব্রু থেকে ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে আসা হবে।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের তথ্য মতে, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্টি 'আরসা ও আরএসও'র মধ্যে সংঘাতের জেরে শূণ্যরেখার ক্যাম্প থেকে পালিয়ে বাংলাদেশের ভূ-খন্ডে তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশে-পাশে তাবু টাঙিয়ে আশ্রয় নেন। যেখানে ৫৫৮ পরিববারের মোট ২ হাজার ৯৭০ জন রোহিঙ্গা অবস্থান নিয়েছে।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে বাস্তচ্যুত হয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় আট লাখের বেশি রোহিঙ্গা। এর আগে বিভিন্ন সময়ে পালিয়ে আসারা সহ অনন্ত ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া হয় কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩ টি অস্থায়ী আশ্রয় ক্যাম্পে। ওইসব ক্যাম্পের সার্বিক দেখভাল ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করছে আরআরআরসি (শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার)। 

অপরদিকে তুমব্রু কোনারপাড়া শূণ্যরেখায় অবস্থিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পটির দায়িত্ব পালন করছে আন্তর্জাতিক রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্ট কমিটি (আইসিআরসি)। ক্যাম্পটিতে ৬৩০ টি পরিবারে সাড়ে চার হাজারের বেশী রোহিঙ্গা বসবাস করে আসছিল। 

গত ১৮ জানুয়ারি নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় রোহিঙ্গা হামিদ উল্লাহ নিহত এবং দুজন আহত হয়েছেন। এ সময় শূন্যরেখার বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের বসতঘর পুড়ে যায়। এরপর তুমব্রু বাজারে তাবু টাঙিয়ে আশ্রয় নেয় তারা। কিন্তু বর্তমানে ওখানে ২৯৭০ জন রোহিঙ্গা পাওয়া গেলেও বাকীরা কোথায় তা বলতে পারছেন না কেউ।

আরএস

Link copied!