মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩, ০৩:৫৫ পিএম
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩, ০৩:৫৫ পিএম
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে একটি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়নের পাহাড়ি উঁচু টিলা, নদীর তীর, কৃষি জমিসহ অন্তত অর্ধশতাধিক স্থানে চলছে মাটি কাটার মহোৎসব। ফলে পাহাড়ি অঞ্চলের প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, নদীর গতিপথ অস্বাভাবিকভাবে পরিবর্তন হয়ে অসংখ্য ঘরবাড়ি-রাস্তাঘাট হাট-বাজার, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হুমকিতে পড়েছে। এছাড়াও কৃষি জমির মাটি কাটায় কমে যাচ্ছে চাষাবাদযোগ্য জমির পরিমাণ।
সরজমিনে দেখা যায়, পৌরসদরের বংশাই এলাকায় অবস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধা একাব্বর হোসেন সেতুর দুই পাশ, বংশাই সেলুঘাট, পাহাড়পুর সেতুর দক্ষিণ অংশে, গুনটিয়া সেতুর পশ্চিম পাশে, বহুরিয়া ইউনিয়নে শিল্পপতি নূরুল ইসলাম সেতুর পূর্ব পাশে, লতিফপুর-চানপুর সেতুর পশ্চিম, পূর্ব, উত্তর পাশে, তরফপুর ইউনিয়নের টাকিয়া কদমা, বোর্ডবাজার, শিরঘাটা, বাঁশতৈল ইউনিয়নের বাঁশতৈল, নয়াপাড়া, গায়রাবেতিল, আজগানা ইউনিয়নের তেলিনা, বেলতৈল, হাটুভাঙ্গা, মজিদপুর, লতিফপুর ইউনিয়নের যোগীরকোফা, ত্রিমোহন, ফতেপুর ইউনিয়নের থলপাড়া, বৈলানপুর, পারদিঘী, জামুর্কী ইউনিয়নের গুনটিয়া, মাঝালিয়া, ভাদগ্রাম ইউনিয়নের দুল্যা, গোড়াইল, উয়ার্শী ইউনিয়নের বরটিয়া, নগর ভাদগ্রাম, ভাওড়া ইউনিয়নের কামারপাড়া, বহুরিয়া ইউনিয়নে আড়াইপাড়া চান্দুলিয়াসহ উপজেলার অর্ধশতাধিক স্পটে প্রভাবশালীরা রাতের আঁধারে বালু ও মাটি উত্তোলন করে বিক্রি করছেন। তবে এসবের বিরুদ্ধে কথা বলতে অনিরাপদবোধ করেন অধিকাংশ ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী।
সরজমিনে খোঁজ নিয়ে আরও দেখা গেছে, গ্রামীণ রাস্তায় বড় ড্রামট্রাক চলায় রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। এমনকি কোনো কোনো রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। নদী তীরে মাটি কাটার ফলে ইতোমধ্যে বংশাই সেলুঘাট, ফতেপুর, যোগীরকোফার বেশকিছু বাড়িঘর, মির্জাপুর টু পাথরঘাটা আঞ্চলিক সড়ক, ফতেপুর বাজার, হিলড়া-আদাবাড়ি আঞ্চলিক সড়ক ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুর রহমান বলেন, মাটি ভর্তি অতিরিক্ত লোডের গাড়িগুলোর কারণে গ্রামীণ রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। আমি বিষয়টি নিয়ে উপজেলা পরিষদের মিটিংয়ে তুলে ধরেছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার পাল বলেন, মাটি ব্যবসায়ীর কৃষি জমির টপ সয়েল কেটে নেওয়ায় কৃষি জমি উপযোগিতা হারাচ্ছে। বিষয়টি আমি গুরুত্বসহকারে উপজেলা প্রশাসন অবগত করেছি। তারাও নিয়মিত অভিযানের মাধ্যমে এগুলো রোধ করার চেষ্টা করছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, আমরা প্রতিনিয়তই এসব অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। ইতোমধ্যে অনেককে জেল ও জরিমানাও করা হয়েছে এবং আমরা এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রেখেছি।
কেএস