Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা খারিজ

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৩, ০২:০২ পিএম


সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা খারিজ

দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা প্রতিনিধির বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। গত ৬ ফেব্রুয়ারি, বুধবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইবুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) এসকেএম তোফায়েল হাসান শুনানির পর আবেদনটি গ্রহণ করেননি। মামলা গ্রহণের কোনো উপাদান না থাকায় আবেদনটি খারিজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রাইবুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী।

২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর মানবজমিন পত্রিকায় ‘হাটহাজারীতে বৃদ্ধ বাবাকে পিটিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিলো সন্তান, এবং গত ১১ ডিসেম্বর বাবাকে পিটিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিলো সন্তান’, শিরোনামে দুইটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

এরপর ঘটনাটি নিয়ে হাটহাজারী এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এদিকে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইবুনাল আদালতে মানবজমিন পত্রিকার প্রতিনিধি, দুইটি অনলাইন পত্রিকা ও তার আপন বোন এবং ভগ্নিপতির বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলা গ্রহণের কোনো উপাদান না থাকায় আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে, ১. newsnow24.com, ২. মানবজমিন পত্রিকার চট্টগ্রাম হাটহাজারী প্রতিনিধি মো. আবু শাহেদ, ৩. sampannews.net, ৪. আবু হুরাইরা, ৫. খুরশিদা বেগমকে।

মামলায় উল্লেখ করেন, গত ৭ ডিসেম্বর ২২ইং তারিখে ‘হাটহাজারীতে বৃদ্ধ বাবাকে পিটিয়ে বাড়ি ছাড়া করলো সন্তান’ শিরোনামে সংবাদ প্রচার হওয়ায় তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করাতে বাদি এবং তার বড়ভাই মামুনুর রশিদ ও তার ভাগিনা জাবেদ ও জাহেদ, সামাজিকভাবে হেয় হয়ে মানসিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন।

মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮-এর ২৫(১)(ক)/২৫(২)/২৬(১)২৯ (১) ধারার অভিযোগ আনা হয়েছে। সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার খবরটি শুনে মানবজমিন পরিবার, হাটহাজারী সাংবাদিক ঐক্য পরিষদ, সাংবাদিক ফোরাম, সাংবাদিক সমিতি, সাংবাদিক ইউনিয়ন, প্রেসক্লাবসহ বিশিষ্ট জনেরা নিন্দা জানিয়েছেন। এবং মিথ্যা মামলার প্রস্তুতি নেওয়ায় বাদীকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

এআরএস

Link copied!