দশমিনায় সমালয় পদ্ধতিতে বোরো চাষ

পটুয়াখালীর দশমিনায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কমছে কৃষিজমি। তাই স্বল্প জমিতে অধিক ধান উৎপাদন করে মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে সমালয় পদ্ধতিতে যন্ত্রের মাধ্যমে জমিতে বোরোর চারা রোপন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার বাশঁবাড়ীয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া ব্লকে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা কৃষি অফিসার জাফর আহম্মেদ। 

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে সমালয় পদ্ধতিতে ৫০একর জমিতে বোরো ধান আবাদ হচ্ছে। রোপন পদ্ধতি দেখে কৃষকরা উদ্বুদ্ধ হয়েছে। সমন্নিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের অধিনে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া ব্লকে ৫০ একর জমিতে সমালয় পদ্ধতিতে বোরো ধানের চারা রোপন করা হয়।

সর্বাধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে উচ্চ ফলনশীল ব্রিধান-৭৪ জাত ব্যবহার, ট্রেতে বীজ বপন, কম বয়সের চারা রোপন, চারা রোপনে রাইজ ট্রান্সপ্লান্টার ব্যবহার, সুষম সার ব্যবহার, আইল ফসল, ধান কর্তনে কম্বাইন হারভেস্টার ব্যবহার করে উৎপাদন বাড়ানো, উৎপাদন খরচ সাশ্রয় করা, কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ভরা মৌসুমে কৃষি শ্রমিকের সংকটের সমাধান সম্ভব হবে এই সমলয় চাষাবাদে।

উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামে ২৫ জন কৃষক একসঙ্গে ৫০ একর জমিতে  বোরো ধান রোপন করেছে। এতে বীজ বপন হয় ট্রের মাধ্যমে ২২-২৪ দিনের চারাগুলো রাইজ ট্রান্সপ্লান্টার মেশিন দিয়ে রোপন করা হয়। রোপনের সময় এলাকার কৃষকদের মাঝে কৌতুহল দেখা যায়। 

এ বিষয়ে বাঁশবাড়িয়া ব্লকের কৃষক নেছার উদ্দিন, নুর জামাল, বজলু গাজী ও নাসির হোসেন বলেন, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ২৫জন কৃষক সংঘবদ্ধ হয়ে সমালয় পদ্ধতিতে বোরো ধান আবাদের প্রশিক্ষণ গ্রহন করে এ গ্রামে এই প্রথম প্রযুক্তির মাধ্যমে আবাদ করা হচ্ছে।

কৃষক বজলু গাজী বলেন, এক সঙ্গে ২৫ জন কৃষক প্রশিক্ষণ প্রহন করে সমালয় পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষের জন্য ৫০ একর জমি প্রস্তুত করে আজ মেশিন দিয়ে রোপন করেছি। মেশিন দিয়ে জমি ধান রোপন করতে অনেক সাশ্রয় আর সময়ও কম লাগে। এরকম মেশিন আছে তা জানলে কৃষি কাজ আরও সহজ ও লাভ জনক হতো।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাফর আহম্মেদ জানান, সমন্নিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের অধিনে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া ব্লকে ব্রিধান-৭৪ পঞ্চাশ একর জমিতে রোপন করা হয়। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সার্বক্ষণিক দেখা শোনা ও চাষিদের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।

এআরএস