ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩, ১০:২২ পিএম
খুলনায় কিস্তির টাকা দেয়ার কথা বলে র্যাংকন অটো মোবাইলসের কালেকশন অফিসারকে ডেকে নিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক গ্রাহকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় খুলনার লবণচরা থানায় একটি মামলা করেছেন একই প্রতিষ্ঠানের খুলনা জেলার টেরিটরি (টিআরও) কালেকশন অফিসার সুমন। গত ২৫ ফেব্রুয়ারির ওই ঘটনায় লবনচরা থানার মামলা নম্বর- ১১।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে র্যাংকন অটোমোবাইলসের খুলনার জিরো পয়েন্ট শাখা থেকে ৪৮ কিস্তিতে ৩ টন ওজনের একটি জেএমসি পিকআপ ক্রয় করেন মামুন উর রশিদ নামের একব্যক্তি। ওই পিকআপের (ঢাকা মেট্রো ড-১৪-৮৩২৯) চালক সজল ওরফে আলী হোসেন। মালিক মামুন উর রশিদ প্রতি মাসেই চালক সজলের মাধ্যমে কিস্তির টাকা পরিশোধ করে আসছিলেন স্বাভাবিকভাবেই। প্রতি মাসেই চালক সজলের কাছ থেকে কিস্তির টাকা সংগ্রহ করতেন র্যাংকন অটোর কালেকশন অফিসার মোকছেদুল ইসলাম।
তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি পিকআপক চালক সজল তার মুঠোফোন থেকে ফোন করে মোকছেদুলকে কিস্তির টাকার জন্য লবণচরা থানাধীন খুলনা-মংলা মহাসড়কের পাশে হাকিম কার ওয়াশের যেতে বলে। সেখানে যাওয়ার পর টাকা চাওয়ায় মোকছেদুলের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ায় সজল।
এক পর্যায়ে পিকআপের মালিক মামুন উর রশিদের নির্দেশে গালিগালাজ ছাড়াও দেশিয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত মোকছেদুলকে আঘাত করে সজল। এতে তার শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে যায় এবং মারাত্বকভাবে রক্তাক্ত আহত হয়ে পড়েন মোকছেদুল।
এর এক পর্যায়ে মোকছেদুল মাটিতে লুটিয়ে পড়লেই সজলসহ অজ্ঞাত আরও ২-৩ জন তার শরীরে ডিজেল ঢেলে আগুনে পোড়ানোর চেষ্টা করে। এতে তার মুখমন্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুত্বর দ্বগ্ধ হয়। আগুন থেকে বাঁচতে মোকছেদুল পাশের ডোবায় ঝাঁপ দিয়ে শরীরের আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন। তখনও সজলসহ অজ্ঞাত আরও ২-৩ ব্যক্তি তার মাথায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
মামলার বাদী সুমন বলেন, মোকছেদুলের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (খুমেকে) নিয়ে যায়। গুরুত্বর আহত মোকছেদুল এখনো খুমেকে চিকিৎসাধীন রয়েছে। যে কারণে এ ঘটনায় র্যাংকন অটো মোবাইলসের (টিআরও) কালেকশন অফিসার সুমন বাদী হয়ে লবনচরা থানায় মামলা করেন।
জানতে চাইলে লবনচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক আমার সংবাদকে বলেন, এ ঘটনায় মূল আসামি সজল ওরফে আলী হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।