মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
মার্চ ৪, ২০২৩, ০৪:১২ পিএম
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
মার্চ ৪, ২০২৩, ০৪:১২ পিএম
গরম শুরু হওয়ার সাথে সাথে প্রতিনিয়তই শুরু হয়েছে ঘন ঘন লোডশেডিং। বিদ্যুতের লোড শেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে জনজীবন।
ভূক্তভোগীরা জানান, গরম পড়তেই লোডশেডিং বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও লোডশেডিং এ নিত্য বিড়ম্বনায় পড়েছেন। এর কবলে পড়ে তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অন্যদিকে মশার উপদ্রবে উপজেলাবাসীর জনজীবন অসহ্য হয়ে পড়ছে, তার ওপর আবার বারবার বিদ্যুতের লোডশেডিং দেয়ায় মোমবাতি অথবা হারিকেনের আলো ব্যবহার করতে হচ্ছে। এ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রাও চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
জানা গেছে, উপজেলার প্রায় এক লক্ষ সত্তর হাজার গ্রাহক বিদ্যুতের লুকোচুরি থেকে নিস্কৃতি চায়। কবে নাগাদ এই ভোগান্তির অবসান ঘটবে এটাই এখন জনমনে প্রশ্ন?
এদিকে, গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে লোডশেডিং হওয়ার কারণে ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। অব্যাহত লোডশেডিং এর কারণে তাদের পড়ালেখার চরম ভাবে বিঘ্ন ঘটছে। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিদ্যুৎ নির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অবস্থা আরো করুণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ ওয়াহিদ ইকবাল অভিযোগ করে বলেন, দিনের বেলায় কাজের কারণে যদি ঘন ঘন লোডশেডিং করা হয় তাহলে রাতের বেলায় কেন বিদ্যুৎ থাকছেনা। তিনি এ জন্য মির্জাপুর বিদ্যুৎ বিভাগের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেন।
তিনি আরও বলেন, সরকার যেখানে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করছেন সেখানে বিদ্যুতের এই লোডশের্ডিং কেন? এই লোডশেডিং সমস্যার দ্রুত সমাধান চাই।
এ বিষয়ে মির্জাপুর পল্লী বিদ্যুতের অতিরিক্ত উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, আমাদের বিদ্যুতের চাহিদা ৪৫ মেগাওয়াট। অনেক সময় ৪৫ মেগাওয়াটও পাচ্ছি আবার অনেক সময় কম পাচ্ছি।
চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পেলেও কেনো এই লোডশেডিং হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সারাদেশেই একটু লোডশেডিং হচ্ছে আপনি নিজেও অবগত আছেন।