বিশেষ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম
মার্চ ১১, ২০২৩, ১২:৩৯ পিএম
বিশেষ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম
মার্চ ১১, ২০২৩, ১২:৩৯ পিএম
চট্টগ্রাম ওয়াসার সরবরাহ করা পানিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পেয়েছে। নগরীর কিছু কিছু এলাকায় ওয়াসার পানি লবণাক্ততার কারণে পানি মুখে নেওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
শুষ্ক মৌসুমে বৃষ্টি না হওয়ায় হালদার পানিতে লবণাক্ততার পরিমাণ কিছুটা বেড়ে গেছে। এই অভিযোগের ব্যাপারে চট্টগ্রাম ওয়াসা বলছে, শুষ্ক মৌসুমের কারণে কাপ্তাই লেকে পানি তুলনামূলকভাবে কমে গেছে। যার কারণে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পানি ছাড়া হচ্ছে না কর্ণফুলী নদীতে।
ফলে নদীর উজানে মিঠা পানির প্রবাহ কমে গেছে। জোয়ারের সঙ্গে সাগরের লোনা পানি কর্ণফুলী নদী থেকে পানি প্রবাহিত হয়ে হালদা নদীতে ঢুকছে। ফলে মোহরা পানি শোধনাগারে পানি শোধনের পরও অতিরিক্ত লবণ থেকে যাচ্ছে। গভীর নলকূপের পানি মিশিয়ে লবণাক্ত কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে গ্রাহকদের মাঝে সরবরাহকৃত পানি নিয়মিত পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃপক্ষ।
নগরবাসীর কাছে সরবরাহকৃত পানিতে লবণাক্ততা দেখা দিলে ও তা মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর কোনরূপ ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে না। গত শুক্রবার চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সংবাদপত্রে জরুরি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
এতে বলা হয়েছে, চলমান শুষ্ক মৌসুমে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে পর্যাপ্ত পানি নির্গত হচ্ছে না। ফলে মোহরা পানি শোধনাগারে হালদা নদী থেকে উত্তোলিত পানিতে লবণাক্ততার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে পরিশোধনের পরও সরবরাহ করা পানিতে কিছু পরিমাণ লবণাক্ততা থেকে যাচ্ছে। ওয়াসার সরবরাহ করা পানি ব্যবহারের সময় লবণাক্ততা অনুভব হলেও তা মানব স্বাস্থ্যে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে না। চট্টগ্রাম ওয়াসা থেকে নগরীতে যে পরিমাণ পানি সরবরাহ করা হয় তা ডাব্লিউএইচওথর গাইডলাইন অনুযায়ী শতভাগ জীবাণুমুক্ত।
এআরএস