Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর, ২০২৪,

এলেঙ্গা পৌরসভা নির্বাচন

প্রচারণায় হামলাকারীদের বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি মেয়র প্রার্থীর

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

মার্চ ১২, ২০২৩, ০৮:২৪ পিএম


প্রচারণায় হামলাকারীদের বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি মেয়র প্রার্থীর

প্রচারণায় বাধা প্রয়োগ করা হামলাকারীদের বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী মো. শাফি খান। রোববার (১২ মার্চ) বিকেলে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ দাবি জানান।

এছাড়াও নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার নিকট লিখিত আবেদন করেছেন। শাফি খান ইতিপূর্বে এলেঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও এলেঙ্গা পৌরসভার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে মো. শাফি খান জানান, আগামী ১৬ মার্চ এলেঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনে তিনি মেয়র পদে জগ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত ১ থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত পৌরসভার যে এলাকাতেই তিনি প্রচারণা করতে গিয়েছে সেখানেই তার উপরে দফায় দফায় হামলা করা হয়েছে।

তাকে প্রচারণা থেকে বিরত থাকতে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিচ্ছে আওয়ামী লীগ মনোনীত নুর এ আলম সিদ্দিকী ও তার সমর্থকরা।

রোববার দুপুুরে তিনি পৌরসভার ফুলতলা এলাকায় গেলে নৌকা প্রার্থীর ৩০/৪০ টি মোটরসাইকেল নিয়ে তার গতিপথ রোধ করে। এ সময় তাকে ও তার সমর্থকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। সেখান থেকে তিনি ভাবলা এলাকার দিকে গেলে সেখানেও নৌকা প্রার্থীর সমর্থকরা তাদের পিছু নেয়। পরে তিনি টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার ও কালিহাতী থানার ওসি মোল্লা আজিজুর রহমানকে অবগত করেন। পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়।

মো. শাফী খান বলেন, আমি ইতিপূর্বে একাধিকবার নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। আমার উপর এতো হামলা ও হুমকি দেয়া হয়নি। আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নুর এ আলম সিদ্দিকীর সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কালিহাতী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মিসবাহ উদ্দীন আহমেদ জানান, আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার পর তার নির্বাচনী অফিস সরাতে নোটিশ করা হয়েছে। এছাড়াও গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এএইচএম কামরুল হাসান জানান, তিনজন মেয়র প্রার্থী ছাড়াও ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৩৪ জন ও তিন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৪ জন প্রতিদ্বদ্বিতা করছেন। ১৬ মার্চ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে।

প্রসঙ্গত, কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা ইউনিয়ন এবং আশে পাশের কিছু এলাকা নিয়ে ২০১১ সালে এলেঙ্গা পৌরসভা গঠিত হয়। উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার ও প্রসিদ্ধ ব্যবসা কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত এই পৌরসভার প্রথম নির্বাচন হয় ২০১৩ সালে। বর্তমানে এ পৌরসভায় ভোটার ৩০ হাজার ৪৬৭ জন।

এআরএস

Link copied!