লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :
মার্চ ২৪, ২০২৩, ০৩:১৭ পিএম
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :
মার্চ ২৪, ২০২৩, ০৩:১৭ পিএম
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে বিকাশ ব্যবসায়ীর উপর হামলা চালিয়ে নগদ আড়াই লাখ টাকা ও মোবাইল সেট ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাইকৃত নগদ ৮৪৬০ টাকা, ৩টি চেক বই, ১টি নকিয়া মোবাইল সেট ও একটি হ্যান্ড ব্যাগ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত দুজন হলেন- স্থানীয় পার্শ্ববর্তী এলাকার ছোট বল্লভপুর গ্রামের খালপাড়ে বসবাসকারী মো. ইউসুফের ছেলে মো.পারভেজ (২৪) ও চরশাহী ইউপির মাইদের বাড়ির মোস্তফার ছেলে মো.ইউসুফ (৩০)। তাদেরকে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাতে বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
শুক্রবার (২৪ মার্চ) দুপুরে চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি মো. তহিদুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি মো. তহিদুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ের আরো জানিয়েছেন, গত ২০ মার্চ রাত সাড়ে ১০টার দিকে চন্দ্রগঞ্জ ইউপির কামারহাট বাজারের মোবাইল মেকানিক ও বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম ইমতিয়াজ (৩২) প্রতিদিনের ন্যায় তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়ি যাচ্ছিল। ইমতিয়াজ একই এলাকার গণিপুর গ্রামের গণি মুন্সি বাড়ি মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে। এসময় তার বাড়ি থেকে ২০ গজ অদূরে পূর্ব থেকে ওঁৎপেতে থাকা ৪/৫ জনের একদল ছিনতাইকারী ইমতিয়াজের গতিরোধ করে তার মাথায় ও হাতে পায়ে পিটিয়ে ব্যাপক জখম করে নগদ আড়াই লাখ টাকা, ৫টি মোবাইল ও কয়েকটি ব্যাংকের চেক বইসহ লুট করে নিয়ে যায়।
পরে আহত ইমতিয়াজের মা, জাহানারা বেগম তার নাতি রিফাতকে সাথে নিয়ে খুঁজতে খুঁজতে এসে আহত ইমতিয়াজকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে নোয়াখালীর একটি প্রাইভেট হসপিটালে এরপর তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়। মাথায় গুরুত্বর আঘাতের কারণে তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। এখনো তার অবস্থা আশঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এ দিকে আহত ইমতিয়াজের মা’ জাহানারা বেগম বৃহস্পতিবার বাদী হয়ে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর ছিনতাইকৃত মোবাইল সেটের সূত্র ধরে প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামি পারভেজ ও ইউসুফকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
ওসি মো. তহিদুল ইসলাম বলেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আসামি পারভেজ ও ইউসুফ তাদের আরো সাঙ্গপাঙ্গসহ এই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়েছে। এটা তাদের আগে থেকে পরিকল্পনা ছিল যে, ইমতিয়াজ বিকাশের ব্যবসা করে। তার কাছে নগদ টাকা পাওয়া যাবে। যার কারণে, তারা পরিকল্পনামাফিক এঘটনা ঘটিয়েছে।
আরএস