পঞ্চগড় প্রতিনিধি
মার্চ ২৮, ২০২৩, ১২:০৮ পিএম
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
মার্চ ২৮, ২০২৩, ১২:০৮ পিএম
পঞ্চগড়ে দীর্ঘদিনের একটি গ্রামীণ রাস্তায় জমি নিজেদের দাবি করে বাঁশের বেড়া এবং সুপারি গাছ লাগিয়ে দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন কয়েক জন। এতে দুর্ভোগে পড়েছে প্রায় ২০টি পরিবারের শতাধিক মানুষ। পাশের গ্রাম ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে তাদের।
বোদা উপজেলার বনগ্রাম বেংহারী ইউনিয়ন পরিষদ এর মানিক পীর শিকারপুর গ্রামের মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, রাস্তাটি গত বছরের ২২ জুলাই ২২ইং (শুক্রবার) বন্ধ করে দেন মোঃ আহসান হাবীব (৩৫), মো. মোজাম্মেল হক (৪০), মো. ইয়াছিন আলী (৩০), মো. মাহাবুব আলম (৩৫), মো. সুজন ইসলাম (২৮), মো. শহিদুল (৫৫), মো. হাফিজুল ইসলাম (৪৫) সহ আরো কয়েকজন।
ওই গ্রামের এলাকাবাসী জানান, এই রাস্তা দিয়ে প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে লোকজন চলাচল করে আসছেন। রাস্তার জমি নিয়ে গত ২০২০ইং সালে মো. কাইমুল ইসলাম বাদী হয়ে বিজ্ঞ বোদা সহকারী জজ আদালতে, পঞ্চগড় এ একটি মামলা আনয়ন করে যাহার মামলা নং ১০/২০ এবং গত ২৪ জুলাই ২০২২ ইং তারিখ বোদা থানায় মো. কাইমুল ইসলাম এর সহধর্মিণী মোছা. আর্জিনা বেগম বোদা থানায় বাদী হয়ে আরো একটি মামলা দায়ের করেন যাহার মামলা নং ১৩/১৪৯। বর্তমানে বাঁশের বেড়া দিয়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধ রয়েছে ।
সুবিধা বঞ্চিত একই এলাকার মো. তোয়াবুর রহমান (৪০) বলেন, রাস্তা বন্ধ থাকায় কাজে বের হওয়া যাচ্ছে না। বেড়া দেয়া লোকজন কোনো কথাই শুনছে না। মামলায় সাক্ষী হওয়ায় আমাকে আসামিগন বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। ফলে আমি ও আমার পরিবার সন্তান নিয়ে শশুর বাড়ি অবস্থান করিতেছি এবং আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
একই এলাকার মো. তফিল উদ্দিন (৪৫), ও মোঃ দুলাল ইসলাম (২৫) জানান, রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় তাদের অন্য একটি গ্রাম দিয়ে ঘুরে যেতে হচ্ছে। ওই রাস্তা দিয়ে গ্রামের অনেক মানুষ মাঠে যান। তারাও মাঠে যেতে পারছেন না। ‘বর্তমানে আমরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে পরিবার নিয়ে বসবাস করছি। আমরা দ্রæত চলাচলের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
এ বিষয়ে মো. আহসান হাবিব সহ বাকী আসামীগণের সাথে যোগাযোগ হলে তার বিষয়টি এরিয়ে জান ।
এ বিষয়ে বোদা বনগ্রাম বেংহারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. িসাহেব আলী জানান, মূলত রাস্তা নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে এ দ্বন্দ। কিছুদিন পরপরই তাঁদের মধ্যে সমস্যা হয়। পুলিশ, জনপ্রতিনিধি ও এলাকার বিশিষ্টজনদের নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করলেও সমাধান করা যাচ্ছে না। বর্তমান আদালতে মামলা চলমান আছে।
আরএস