Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ০৬ নভেম্বর, ২০২৪,

পূর্বধলায় হত্যা মামলার আসামি পুলিশের এএসআই গ্রেপ্তার

পূর্বধলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

পূর্বধলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

এপ্রিল ২, ২০২৩, ০২:৩৭ পিএম


পূর্বধলায় হত্যা মামলার আসামি পুলিশের এএসআই গ্রেপ্তার

নেত্রকোনার পূর্বধলায় প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ঝর্ণা আক্তার (৩৭) হত্যা মামলার পলাতক আসামি ফিরোজ খা (৩৫) নামে এক পুলিশের এএসআইকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।  

তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ র‌্যাব সদর দফতরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (অপারেশন ও মিডিয়া অফিসার) মো. আনোয়ার হোসেন।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ শনিবার দুপুরে র‌্যাব-১৪, ময়মনসিংহের একটি টিম অভিযান চালিয়ে টাঙ্গাইল শহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।  

গ্রেপ্তারকৃত ফিরোজ খা উপজেলার ধলামূলগাওঁ ইউনিয়নের আগমারকেন্ডা গ্রামের আঃ সাত্তার খানের ছেলে ।  তিনি বাংলাদেশ পুলিশের এন্টি টেরোরিজম ইউনিট ময়মনসিংহে কর্মরত ছিলেন।

র‌্যাব জানায় , উপজেলার ধলামূলগাঁও ইউনিয়নের আগমারকেন্ডা গ্রামের খোয়াজ খার সাথে তার চাচাত ভাই আলম খানের নানা বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।  গত ২৬ (মার্চ ) সন্ধ্যায়   খোয়াজ খা তাদের পারিবারিক বিষয় নিয়ে তার মেয়ে তামান্নাকে (১৭) মারধর করতে থাকলে খোয়াজ খার চাচাত ভাই আলম খানের স্ত্রী ঝর্ণা আক্তার তা ফিরাতে গিয়ে খোয়াজ খা কর্তৃক মারধরের শিকার হন।  পরে ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে গত সোমবার (২৭ মার্চ ) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাদের নিজ বাড়িতে দুপক্ষে কথা কাটাকাটি হয়।  এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের খোয়াজ খানের লোকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে আলম খানের স্ত্রী ঝর্ণা আক্তার, ছেলে তামিম, ভাই পাপন, ভাইয়ের ছেলে মাহাবুব ও সাকিবকে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।

স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নেত্রকোনা হাসপাতালে যাওয়ার পথে প্রতিপক্ষের লোকজন রাত ১১টার দিকে ফের আহতদের ওপর হামলা চালিয়ে ঝর্নাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।  পরে তাকে প্রথমে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।  সেখানে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বিকেলে ঝর্ণা আক্তার মারা যান।  

এ ঘটনায়  নিহতের ভাই নেত্রকোনা সদর উপজেলার সিংহের বাংলা গ্রামের রুহুল আমিন বাদী হয়ে পূর্বধলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পূর্বধলা থানানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাদ্দাম হোসাইন জানান, ওই মালার ২নং আসামি ফিরোজ খা বাংলাদেশ পুলিশের এন্টি টেরোরিজম ইউনিট ময়মনসিংহে কর্মরত ছিলেন।  কর্মস্থল থেকে ছুটি ছাড়াই বাড়ি এসে তিনি বিরোধে জড়িয়ে পড়েন।  

আরএস

 

 

Link copied!