Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪,

কালিগঞ্জে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ভেনামি চিংড়ি চাষ

কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি

কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি

এপ্রিল ৩, ২০২৩, ০২:৪৭ পিএম


কালিগঞ্জে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ভেনামি চিংড়ি চাষ

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে এক মৎস চাষি পরীক্ষামূলক ভেনামি চিংড়ি চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। চাষির নাম মো. আব্দুল হান্নান। তার বাড়ি কালিগঞ্জ উপজেলার ইউনিয়নের ঘুশুড়ি গ্রাম। কিভাবে ভেনামি চিংড়ি চাষ করলেন এবং কেমন লাভ হচ্ছে জানতে চাইলে প্রতিবেদককে জানান অন্যান্য চিংড়ির চেয়ে এই চিংড়ি চাষে খরচ কম লাগে। 

চলতি বছরে আমি বিদেশ থেকে ১০ লাখ ভেনামি জাতের পোনা আমদানি করে চারটি পুকুরে চাষ শুরু করি। এখান থেকে লাভবান হতে পারবো বলে আশা করছি। মাছ যা আছে তা খরচের টাকা উঠে কয়েক লক্ষ টাকা লাভ হবে।" 

চিংড়ি চাষে প্রশিক্ষণ নেওয়া ছেলেদের সংগঠনের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল হোসেন বলেন, ভেনামি চিংড়ির পোনা ছাড়ার ৮০তম দিনেই এক একটি চিংড়ি গড়ে ৩০ থেকে ৩২ গ্রাম ওজন হয়েছে। এইগুলো এখনই বিক্রি করা সম্ভব। সাধারণত গলদা বা বাগদা বিক্রয় যোগ্য হতে কমপক্ষে ১২০ দিন সময় লাগে। অন্যান্য চিংড়ির চেয়ে ভেনামি চিংড়ি চাষে খরচ প্রায় অর্ধেক।

চাষিরা বলেন, এ ভেনামি চিংড়ি রোগ সহনীয় এবং বৃদ্ধিও সন্তোষজনক। এই চিংড়ি চাষে খরচ অনেক কম লাগে। ফলে চাষিরা অনেক লাভবান হবেন। বাগদার পিছনে যদি ১০০ টাকা খরচ হয়, তাহলে ভেনামির পিছনে ৫০ টাকা খরচ হয়। 

বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের পরিসংখ্যান মতে, দেশে বাগদা চিংড়ির গড় উৎপাদন হেক্টর প্রতি ৩৪১ কেজি। আর ভেনামি চিংড়ির হেক্টর প্রতি উৎপাদন হয় ৭ হাজার ১০২ কেজি। অর্থাৎ বাগদার তুলনায় ভেনামির উৎপাদন হেক্টর প্রতি ৬ হাজার ৭৬১ কেজি বেশি। ফলে চাষিরা বাগদার চেয়ে ভেনামি চিংড়ি চাষে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি এস হুমায়ুন কবীর বলেন, সৌদি আরব, ইউএই ও কাতারের মতো অঞ্চলে এ চিংড়ি চাষ হচ্ছে। সুতরাং এটি বাণিজ্যিকভাবে চাষের অনুমোদন দিতে হবে। এটিই হচ্ছে আমাদের দাবি।

খুলনা বিভাগের মৎস্য অধিদফতরের উপ পরিচালক মো. তোফাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এ চিংড়ি নিয়ে বাংলাদেশ ফিশারি ইনস্টিটিউট গবেষণার সঙ্গে জড়িত। উনারা পর্যবেক্ষণ করছেন। উনাদের মতামতের আলোকে আমাদের এটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের অনুমতি দেয়া হবে, কি না। 

চলতি বছর পরীক্ষামূলক ভেনামি চাষের জন্য মোট ১১টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এছাড়াও শর্তসাপেক্ষে অনুমতি পাবে সাতক্ষীরার দেবহাটার মেসার্স আল-হেরা মৎস্য প্রকল্প, রূপসার ফ্রেশ ফুডস লিমিডেট, সাতক্ষীরার কালীগঞ্জের নলতা আহছানিয়া ফিশ ও রূপসার জেমিনি সি ফুডস লিমিডেট। কালিগঞ্জের একটি এনজিও সুশিলন ও ভেনামি চিংড়ি চাষে কাজ করছে। এ অবস্থায় কালিগঞ্জ উপজেলায় ভেনামি চাষে বিপুল সম্ভাবনার হাতছানি দিচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এমএইচআর

Link copied!