Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

নান্দাইলে নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

এপ্রিল ৮, ২০২৩, ০৭:২২ পিএম


নান্দাইলে নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ পলিথিন এখন বাজারের সর্বত্র সয়লাব। আইনের প্রয়োগ ও বাস্তবায়নের ব্যর্থতার কারণেই পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক নিষিদ্ধ পলিথিন থেকে মুক্তি মিলছে না। এসমস্ত পলিথিন যেভাবে ব্যবহার বাড়ছে, ঠিক তেমনি দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। 

এছাড়া পলিথিন বর্জ্যরে কারণে পরিবেশ দূষিত হওয়ার পাশাপাশি ভূমিকম্প সৃষ্টিতে সহায়তা করে। কারণ পরিবেশ বান্ধবহীন নিষিদ্ধ পলিথিন মাটির নীচে চাপা পড়লেও তার কোনো পচন নেই। ফলে ফসলাদি সহ পরিবেশ হুমকীর মুখে পড়ছে। 

সরেজমিনে পরিদর্শনে জানা গেছে, নান্দাইল উপজেলার পৌর সদরসহ ১৩টি ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট-বাজারে দেদারসে চলছে নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার। প্রশাসনের কোনো তৎপরতা না থাকায় এর ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলছে। 

কাঁচা বাজার, মুদির দোকান, শপিংমহলসহ ছোট-বড় সব দোকানে চলছে পলিথিন ব্যবহার। তারা নিত্য পণ্য দ্রব্য পলিথিনের মধ্য ভর্তি করে ক্রেতাদের নিকট বিক্রি করে থাকে। এদিকে বাজার করতে আসা সাধারন ক্রেতারা পাটের ব্যাগ/কাপড়ের ব্যাগ অথবা পরিবেশ বান্ধব পলিথিনের ব্যাগ ব্যবহার না করে সহজেই সরকার নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করে যাচ্ছে। 

পরবর্তীতে ওয়ান টাইম ইউজ করা পলিথিন ব্যাগগুলো যেখানে সেখানে ফেলে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি মাটির উর্বরতাকে নষ্ট করে। এদিকে ২০১৯ সনে কোভিড-১৯ আক্রমণের পূর্বে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বারংবার নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে জোরালো অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল। 

এতে নান্দাইল উপজেলাকে পলিথিন মুক্তের পাশাপাশি ময়মনসিংহ জেলাকে পলিথিন মুক্ত ঘোষণা করা হয় এবং বিভিন্ন জনবহুল গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রচার সাইনবোর্ড টানানো হয়েছিলো। বর্তমানে সেগুলো আর নেই বললেই চলে। কিন্তুু এর পর থেকে আর কোন উদ্যোগ গ্রহন করা হয়নি। 

এ বিষয়ে কয়েকজন ক্রেতা জানান, পলিথিন নিষিদ্ধ জেনেও ভুল করে বাজারের ব্যাগ না নিয়ে আসায় পলিথিন ব্যবহার করছে। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, পলিথিনের উৎপাদন কেন্দ্র যদি সরকার বন্ধ করা ব্যবস্থা করেন এবং নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করেন তাহলে বাধ্য হয়েই পরিবেশ বান্ধব ব্যাগ ব্যবহার করবে সবাই। 

এদিকে সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গরা বলছেন, বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসল ছিল সোনালী আশঁ পাট। তাই পাটের চাষাবাদ বৃদ্ধির ব্যবস্থা করে পলিথিনের বিকল্প হিসাবে পাটের ব্যাগ ব্যবহার নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এতে করে দেশের অর্থনৈতিক যেমন আয় হবে, তেমনি পরিবেশও সুন্দর হবে। 

নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল মনসুর জানান, এ বিষয়ে সকলকেই সচেতন হওয়া দরকার। এছাড়া পলিথিনের বিরুদ্ধে দ্রুতই অভিযান পরিচালনা করা হবে।

এমএইচআর

 

Link copied!