সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
এপ্রিল ৯, ২০২৩, ০৩:৪৮ পিএম
সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
এপ্রিল ৯, ২০২৩, ০৩:৪৮ পিএম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার ধরন্তির আকাশি বিল যেন মাটি খেঁকোদের অভয়ারন্যে পরিনিত হয়েছে। সরাইল উপজেলার একমাত্র কৃষি নির্ভর হাওরটি আকাশি বিল নামে পরিচিত।
উপজেলার সবচেয়ে বেশী ধান উৎপন্ন হয় ধরন্তির এই হাওরেই। কয়েক মাস ধরে এই হাওরের কৃষি জমির মাটি ড্রেজারে খনন করে ইট ভাটার মালিকদের নিকট বিক্রি করছেন কিছু অসাধু ব্যক্তি। সরাইল উপজেলা ছাড়াও এ মাটি যাচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার বিভিন্ন উপজেলার ইটভাটায়।
স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, শুকনো মৌসুমে দিনে ও রাতে অবৈধ ভাবে ফসলি জমির মাটি ভেকু ও ড্রেজার দিয়ে তুলে বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করছে কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যাক্তি। এতে করে পাশের মালিকদের ফসলি জমি ভেঙ্গে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
ফলে এসব জমি চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও কয়েক বছর ধরে এ হাওরের মাটি ইটভাটায় নিয়ে যাওয়ার ফলে জমিগুলো নীচু ভুমিতে পরিনত হয়েছে। যার দরুণ অল্প বৃষ্টি হলেই সকল ধান ক্ষেত পানিতে তলিয়ে যায়। এতে প্রায় ৫ হাজার কৃষকের ফসল নষ্ট হয়।
কৃষক কবির হোসেন ও কোহিনুর মিয়া জানান, ড্রেজার ও ভেকু দিয়ে মাটি ট্রাক্টরে করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার দরুণ আশেপাশের জমি ভেঙ্গে গিয়ে ফসলের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ বিলটি দিন দিন নিচু হয়ে যাচ্ছে, যার ফলে অল্প বৃষ্টিতেই ফসল পানিতে ডুবে যায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ধরন্তি এলাকার খাদিম হোসেন নামের এক প্রভাবশালীসহ কয়েকজন মিলে এ হাওরের বিভিন্ন জমিতে প্রায় ১০টি ভেকু ও ৩০টির বেশী ড্রেজার লাগিয়ে মাটি উঠিয়ে ট্রাক্টরের মাধ্যমে তাদের নিজ স্থানে জমানো হচ্ছে, আর এ মাটি বিভিন্ন এলাকায় ট্রাক্টরের মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীন বলেন, হাওরে ড্রেজারে কৃষি জমির মাটি কাটা অবৈধ। এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে ড্রেজারে মাটি কাটা বন্ধ করার জন্য কয়েকবার চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি রাতের বেলা নজর রাখার জন্য টহল পুলিশকে বলেছি। এদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এমএইচআর