Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

হরিণাকুণ্ডুতে টাইলস মিস্ত্রিকে কুপিয়ে হত্যা

হরিণাকুণ্ডু ( ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি

হরিণাকুণ্ডু ( ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি

এপ্রিল ২৪, ২০২৩, ০৩:৫২ পিএম


হরিণাকুণ্ডুতে টাইলস মিস্ত্রিকে কুপিয়ে হত্যা

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে লুৎফর রহমান (৪৫) নামে এক টাইলস মিস্ত্রিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। সোমবার সকাল ১১টার দিকে শহরতলির মান্দারতলা এলাকায় তাকে কুপিয়ে আহত করার পর বেলা দেড়টার দিকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি ওই এলাকার নায়েব মন্ডলের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, সকালে সে পাশের জোড়াপুকুরিয়া এলাকা থেকে বাড়ি ফেরার সময় মান্দারতলা এলাকার ব্রীজের ওপর পৌছলে ১৫-২০জন লোক দেশিয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নেয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের চিকিৎসক আশরাফুজ্জামান সজিব জানান, নিহত ব্যক্তির হাত-পা, মাথা, ঘাড়, পিঠসহ দেহের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। প্রচুর রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।

নিহতের স্ত্রী ভানু নেছা জানান, তার স্বামী ঢাকায় টাইলস মিস্ত্রির তাজ করেন। ঈদের আগে তিনি বাড়িতে আসেন। আজ ঢাকাতে চলে যাওয়ার কথা ছিল। সকালে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে তাকে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায় প্রতিপক্ষরা।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই ওই এলাকায় দুটি পক্ষের মধ্যে সামাজিক বিরোধ রয়েছে। এর পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম এবং ওপর পক্ষে রয়েছেন খবির উদ্দিন নামে দ্ইু ব্যক্তি। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রায়ই ওই এলাকায় দুটি পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এর আগে গত ১ এপ্রিল রবিউল ইসলাম নামে জোড়াপুকুরিয়া এলাকার এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা ও রনি নামে এক যুবককে আহত করে প্রতিপক্ষরা। এরই জেরে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে দাবি করেন কয়েকজন।

আমিরুল ইসলাম নামে নিহতের এক স্বজন জানান, দীর্ঘদিন ধরে লুৎফর রহমান ঢাকায় টাইলস মিস্ত্রির কাজ করে। ঈদের আগে সে বাড়িতে আসে। সকালে পাশের জোড়াপুকুরিয়া গিয়েছিল। বাড়িতে ফেরার সময় প্রতিপক্ষ সাইফুল কমিশনারের লোকজন তাকে দেশিয় ধারালো অন্ত্র দিয়ে কুপিয়েছে।

এ বিষয়ে কথা বলতে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

হরিণাকুণ্ডু থানার ওসি আবু আজিফ বলেন, সামাজিক বিরোধের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। হত্যাকান্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এইচআর

Link copied!