Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

১৪ দিনেও মেরামত হয়নি ভেঙ্গে যাওয়া সেতু

মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

এপ্রিল ২৬, ২০২৩, ০৭:২২ পিএম


১৪ দিনেও মেরামত হয়নি ভেঙ্গে যাওয়া সেতু

নেত্রকোনার মদন-কেন্দুয়া সড়কের গোগবাজার এলাকার একটি সেতুটি ভেঙ্গে যাওয়ায় ১৪ দিনেও মেরামত হয়নি। বিকল্প কোন রাস্তা না থাকায় ভোগান্তির মধ্যে দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে লোকজনকে। কর্তৃপক্ষ সেতুটি সংস্কারের উদ্যোগ না নেওয়ায় চালক ও যাত্রীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সেতুটি কেন্দুয়া অংশে পড়েছে। 

গত ১২ এপ্রিল সেতুটি ভেঙে যায়। এখন পর্যন্ত এটি সংস্কার করা হয়নি। মদন থেকে কেন্দুয়া উপজেলায় যাতায়াতের একমাত্র পথ মদন-কেন্দুয়া সড়ক। ব্যস্ততম এই সড়কে প্রতিদিন যাত্রী ও পণ্যবাহী ছোট বড় হাজারো গাড়ি চলাচল করে থাকে। 

মদন ও খালিয়াজুরী থেকে কেন্দুয়া, তাড়াইল, কিলোরগঞ্জ, ভৈরব, ঢাকা, সিলেট এবং চট্টগ্রামের সঙ্গে দূরপাল্লার যান চলাচল করে ওই সড়ক দিয়ে। 

বুধবার (২৬ এপ্রিল) সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, সেতুটি ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে রাস্তায় দুই পাশে ছোট বড় গাড়ি আটকে আছে। অনেক যাত্রী তাদের মালপত্র নিয়ে অপেক্ষা করছেন। কেউ কেউ আবার গাড়ি বদল করে কর্মস্থলে ফিরছেন। এতে যেমন বাড়ছে খরচ তেমনি পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।

এ সময় মদনের লাকি আক্তার, লেলিম মিয়া, আজিজুল হক জানান, ‘আমরা চট্টগ্রামে পোশাক শ্রমিকের কাজ করি। ছুটি পেয়ে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করার জন্য বাড়ি এসেছিলাম। কিন্তু এখানে এসে দেখি ব্রিজটি ভেঙ্গে গেছে। তাই গাড়ি আর সামনের দিকে যাওয়া সম্ভব না। বাধ্য হয়েই নেমে যেতে হচ্ছে কিন্তু ভোগান্তির শেষ নেই। 

সিএনজি চালক জাহাঙ্গীর মিয়া জানান, ‘এখন ঈদের মৌসুম ছিল। শহর থেকে গ্রামে আশা লোকজন কর্মস্থলে ফিরছে। তবে ব্রিজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় এখানে এসে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। ১৪দিন ধরে ব্রীজ ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে কোন প্রকার যান চলাচল করতে পারছে না। 

মদন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহনূর আলম বলেন, ‘কেন্দুয়া থেকে মদনে যাতায়াত করার একমাত্র রাস্তা এটি। এই সড়কের একটি সেতু ভেঙে যাওয়ার কারণে লোকজন ভোগান্তিতে পড়েছে। বিষয়টি সমাধান করার জন্য কেন্দুয়া উপজেলা প্রসাশনের সাথে কথা বলেছি।

’এ বিষয়ে কেন্দুয়া উপজেলা প্রকৌশলী মোজাম্মেল হোসেন জানান, ‘সেতুটি অনেক পুরাতন হওয়ায় ভেঙে গেছে। নতুন করে নির্মাণ করার জন্য কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। 

এইচআর

Link copied!