Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪,

উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসা জরুরি!

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, মুন্সীগঞ্জ

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, মুন্সীগঞ্জ

মে ৪, ২০২৩, ০৮:৩০ পিএম


উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসা জরুরি!

জরাজীর্ণ টিনসেড ঘরে দুই যুগ ধরে চলছে  স্বাস্থ্যসেবা

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে জরাজীর্ণ টিনসেড ঘরে চলছে সেবা। দুই কক্ষ বিশিষ্ট টিনসেড ঘরটির চাল মরিচা পরে বড় বড় ছিদ্র হয়ে গেছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই ছিদ্র দিয়ে পানি পড়ে ঔষধসহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ভিজে যাচ্ছে।

দরজা জানালার অবস্থাও একেবারে  জরাজীর্ণ। যে কোনো সময় ঘটতে পারে  দুর্ঘটনা । ঝুঁকি জেনেও কাজ করছেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এদিকে সেবা নিতে আসা রোগাীরা থাকে আতঙ্কে। ফলে অনেকে সেবা নিতে আসা মানুষজন ভয়ে নিজ ইউনিয়নে উপ-স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র থেকে সেবা না নিয়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৪ মে) এমনই চিত্র দেখা যায় হোসেন্দী বাজারে স্থাপিত উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি।

উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, ব্রিটিশ পিয়ড থেকে টিনসেড ঘরে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হয়। ইউনিয়নের সব বয়সের নারী পুরুষকে জ্বর, সর্দি, কাশি, চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ছাড়া শিশু, গর্ভবতী নারী, কিশোর কিশোরীরদের জন্য রয়েছে বিশেষ সেবা। প্রতিদিন ৯০ থেকে ১০০ জন রোগী চিকিৎসাসেবা নেন এখানে।

রঘুরচর এলাকার বাসিন্দা শতবর্ষী আবুল হোসেন বলেন, এটি এমন একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র যেটি গত ৮৮ বছরেও টিনের চালগুলো পরিবর্তন হয়নি।

হোসেন্দী বাজারে ব্যবসায়ী সুমন খান বলেন, এ স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র আশ্রয়স্থল। অসহায় মহিলা ও গরীব লোকজন এ স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে সেবা নিয়ে থাকে।

হোসেন্দী ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মরত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মো. শহিদুল ইসলাম জানান, আমাদের অফিসে জনবল সংকট রয়েছে। অফিস সহকারি এবং আমি ব্যতিত আর কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী নেই। অনেক কষ্টসাধ্যে প্রতিদিন গড়ে ৯০ থেকে ১০০ জন রোগীদের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। এই ইউনিয়নে নদীপথে নৌকাযোগে দূরবর্তী গ্রাম থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। 

তিনি আরও বলেন, শুনেছি এ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি ব্রিটিশ আমলে নির্মাণ করা হয়। এখন পর্যন্ত টিনসেড ঘর ছাড়া নতুন ভবন নির্মাণ হয়নি। ঘরটি এতোটাই জরাজীর্ণ অল্প বৃষ্টি হলেই টিন চুয়ে পানি পড়ে। তাছাড়া দরজা-জানালা গুলোও নড়বড়ে। চালের টিনে মরিচিকার আক্রমণে লৌহচূর্ণ হয়ে খসে পরছে নিয়মিত। রোগীদের বসার জায়গা নেই। সব মিলিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জীর্ণ ঘরে বসেই স্থানীয় বাসিন্দাদের চিকিৎসা দিচ্ছি।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মুবাশ্বির বিনতে আলম জানান, হোসেন্দী উপ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রটি ঝুঁকিপূর্ণ টিনসেড ঘরটির বিষয় উর্ধতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে।

এআরএস

Link copied!