মেলান্দহ (জামালপুর) প্রতিনিধি
মে ৮, ২০২৩, ০৪:১৩ পিএম
মেলান্দহ (জামালপুর) প্রতিনিধি
মে ৮, ২০২৩, ০৪:১৩ পিএম
প্রতিবছরের ন্যায় জামালপুরের মেলান্দহে এবারও চলছে মাসব্যাপী বৈশাখী মেলা। দীর্ঘদিন থেকেই উপজেলার দুরমুঠ এলাকায় শাহ কামালের মাজারকে কেন্দ্র করে চলেছে এ বৈশাখী মেলা।
মেলায় সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত উচ্চস্বরে মাইক ও সাউন্ড বক্স বাজানোয় শব্দ দূষণের শিকার হচ্ছে এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ অসুস্থ ব্যক্তি ও শিশুরা। পরীক্ষার্থীদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও মেলার মাঠে পাগলদের বসানো প্রতিটি ডেরায় চলছে মাদক সেবন ও সেবনের সরঞ্জামাদি বিক্রি। এ নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্ঠি হয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।
এদিকে মেলা উপলক্ষে খোলা ট্রাক, অটোরিকশা, মাহিন্দ্রা ও নছিমন গাড়িতে গাদাগাদি করে চলছে নৃত্য, উচ্চ শব্দে গান বাজিয়ে উঠতি বয়সি তরুণরা পাড়া দাপিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাচ্ছে মেলাস্থলে এ নিয়ে অতিষ্ঠ পরীক্ষার্থী ও স্থানীয়রা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
গত ১৪ এপ্রিল (পহেলা বৈশাখ) থেকে শুরু হয়েছে এ মেলা। চলবে পুরো বৈশাখ মাস জুড়ে। প্রতিদিন মেলা প্রাঙ্গণে চলছে সার্কাস, চরকি ও নানান গানের আসর।
স্থানীয়রা জানান, এসএসসি পরীক্ষার মধ্যে মেলা চালানো কোনো মতেই ঠিক হচ্ছে না। মেলার মাইক ও সাউন্ড বক্সের উচ্চশব্দে পরীক্ষার্থীদের সমস্যা হচ্ছে। মাদকের নেশায় পড়ে ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
স্থানীয় এসএসসি পরিক্ষার্থীরা জানান, মেলায় দিনে-রাতে প্রায় সময়ই উচ্চ শব্দে মাইকে বা ডেকসেটে বাজানো হচ্ছে গান-বাজনা। মেলায় আগত দর্শনার্থী ও যানবাহনের হর্নের শব্দে আমাদের পড়ালেখা করতে খুব অসুবিধা হচ্ছে।
এ বিষয়ে মেলার সার্বিক বিষয় দেখভাল করা দুরমুঠ ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেকুজ্জামান জুবেরী মুঠোফোনে জানান, মাজার মেলায় আগত পাগলেরা মাদক খায় এটা দীর্ঘদিন থেকেই চলছে।
পাগলেরা মাদক খায় সারা বাংলাদেশ জানে এটা সর্বজনীন স্বীকৃত ওপেন সিক্রেট বিষয়। এটা প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করে থাকে আমরাও থাকি। তবে তরুণ শিক্ষার্থীরা যাতে এর সাথে জড়িত না হতে পারে এজন্য আমরা চেষ্টা করছি। আর উচ্চ শব্দে গান বাজানোয় চলমান এসএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতিতে বিঘ্ন ঘটায় প্রশাসনের নির্দেশে শনিবার (৬ এপ্রিল) মাইক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মেলান্দহ থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমার সাধ্যমতে মাদক নির্মুলের চেষ্টা চালাচ্ছি। কয়েকবার মেলায় অভিযান চালিয়েছি। এসময়ে আমাদের চোখে এমন কিছু পড়েনি। আবার গিয়ে যদি দেখতে পায় তাহলে ব্যবস্থা নিব।
এ নিয়ে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বিষয়টি এই প্রথম জানলাম। মেলার পারমিশন কে দিয়েছে জানিনা। আমার কাছ থেকে কেউ পারমিশন নেয়নি। তবে আমি বিষয়টি জানলাম দেখবো।
এ বিষয়ে মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম মিঞা বলেন, ইতোমধ্যেই মেলায় যাতে উচ্চ শব্দে গান না বাজে সে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অন্য বিষয়গুলো নিয়ে দ্রুত সময়ে সরেজমিনে গিয়ে আইনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এইচআর