গোসাইরহাট (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি
মে ৮, ২০২৩, ০৬:১৯ পিএম
গোসাইরহাট (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি
মে ৮, ২০২৩, ০৬:১৯ পিএম
শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার কুচাইপট্টি ইউনিয়নের ৩টি ওয়ার্ডে বসকাটি, চরমাইজারি ও কুলচরিপাতার চরের কৃষকদের মুখে এখন প্রশান্তির হাসি। তাদের জলাবদ্ধ জমিতে এখন কয়েক কোটি টাকার ফসল উৎপাদন হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবেনা বাস্তবায়নে গত বছর জেলা উপজেলায় মতবিনিময়সভা শুরু করেছিলেন শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান। গোসাইরহাট উপজেলায় আয়োজিত সভায় কুচাইপট্টি ইউনিয়নের কিছু কৃষক স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন স্বপনকে নিয়ে তাদের এলাকার জলাবদ্ধতা দূরীকরণে জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
তাৎক্ষণিক জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসানের নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাফী বিন কবিরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল জলাবদ্ধ এলাকা পরিদর্শন করে। জেলা প্রশাসকের পরামর্শে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপজেলা পরিষদ থেকে প্রকল্প দিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের মাধ্যমে জলাবদ্ধ স্থানগুলোতে খাল কেটে ১০-১২ ইঞ্চি পিভিসি পাইপ দিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেন।
একসময় যে জমি বছরের ৮ মাস পানির নিচে থাকতো এখন সেখানে রবি শস্যের বাম্পার ফলন হয়। নভেম্বরে পানি নিষ্কাশনের পর সেখানে এখন সয়াবিন চাষ হয়েছে ২২০ একর জমিতে, মরিচ হয়েছে ১০০ একরে, মেস্তা পাট হয়েছে ১৮০ একর জমিতে। প্রায় ৬০০ একর জমি এখন চাষের আওতায় এসেছে। উৎপাদিত ফসলের মধ্যে সয়াবিন হয়েছে প্রায় ৯৬ মেট্রিক টন যার বাজার মূল্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা, মরিচ হয়েছে ৩২০ মেট্রিকটন যার বাজার মূল্য ২ কোটি টাকা, পাটের ফলনও প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি।
স্থানীয় কৃষক নাসির উদ্দীন বলেন, প্রায় ৩০-৪০ বছর ধরে এই জমিগুলোতে জলাবদ্ধতার জন্য কোন ফসল ঘরে আনা যেতো না। এখন আমাদের ঘরে আর আর্থিক সংকট থাকবে না।
কুচাইপট্টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাসিরউদ্দিন স্বপন বলেন, ইউএনওর সহযোগিতায় আমরা সবাই মিলে কাজটা করেছি। কৃষকের উপকার হয়েছে খুব আত্মতৃপ্তি পাচ্ছি।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, আগের জলাবদ্ধ জমিতে এখন তিন ধরনের ফসল হচ্ছে। এটা আমাদের কৃষিজ উৎপাদন বৃদ্ধি করবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাফী বিন কবির বলেন, জেলা প্রশাসক প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে একটি সামাজিক আন্দোলনে রূপ দিতে চেয়েছেন। আমরা তাকে শুধুমাত্র সহযোগিতা করেছি।
জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান জানান, শরীয়তপুরের প্রত্যেকটি উপজেলায় অনাবাদি জমিকে আমরা চাষের আওতায় আনার প্রচেষ্টা চালিয়েছি। আমাদের সফলতার হার সন্তোষজনক। এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
এইচআর