Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪,

চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ট্রেড লাইসেন্স না দেওয়ার অভিযোগ

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

মে ৯, ২০২৩, ০৫:৫২ পিএম


চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ট্রেড লাইসেন্স না দেওয়ার অভিযোগ

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার আজগানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের সিকদারের বিরুদ্ধে ট্রেড লাইসেন্স না দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

মঙ্গলবার (৯ মে) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আজগানা ইউনিয়নের কুড়াতলী গ্রামের জুবায়ের সিদ্দিকী দীর্ঘদিন যাবত ইট, বালু, সিমেন্ট ইত্যাদির ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। 

ব্যবসা পরিচালনার জন্য দোকানঘর ভাড়া, আয়কর প্রদানসহ ইউনিয়ন থেকে ট্রেড লাইসেন্স করে প্রায় ১০ বছর আগে। 

পরবর্তী প্রতি বছরেই লাইসেন্স সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী নবায়ন করেন জুবায়ের। সবশেষ ২০২১-২২ অর্থবছরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স নেয়া হয়। 

ট্রেড লাইসেন্সের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের জন্য ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে আজগানা পরিষদে গেলে চেয়ারম্যান কাদের সিকদার লাইসেন্স দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। 

পরবর্তীতে ইউপি সদস্যসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হলেও ট্রেড লাইসেন্স পাইনি জুবায়ের।

ওই ইউনিয়নের কুড়িপাড়া গ্রামের সোলাইমান মিয়ার ছেলে রাজিব এই প্রতিবেদককে অভিযোগ করে জানান, সম্প্রতি আমি একটি কাগজ সত্যায়িত করতে গেলে চেয়ারম্যানের নির্বাচন করিনি এমন মিথ্যা অপবাদ দিয়ে কাগজে স্বাক্ষর দিতে অস্বীকৃতি জানায়। পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকাকালীন আমাদের মতো ছেলেদের দেখে নেয়ারও হুমকি দেন চেয়ারম্যান।

আজগানা ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি হাজী মোক্তার আলী সিদ্দিকী অভিযোগ করে বলেন, গত ১৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর কাদের সিকদার ও আমি আজগানা ইউনিয়ন আ.লীগের সম্মেলনে সভাপতি পদে নির্বাচন করি। সেই নির্বাচনে কাদের সিদ্দিকী হেরে যাওয়ার কারণেই শত্রুতার সৃষ্টি হয়। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই আমার ছেলে জুবায়েরকে চেয়ারম্যান ট্রেড লাইসেন্স দিচ্ছে না।

এ বিষয়ে আজগানা ইউপি চেয়ারম্যান কাদের সিকদার বলেন, যারা প্রকৃত ব্যবসায়ী তাদের অবশ্যই লাইসেন্স দেবো, তবে সে যে ব্যবসার কথা বলেছে আমি তার দোকানের মালপত্র দেখে খোঁজ খবর নিয়ে লাইসেন্স দেবো।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাকিলা বিনতে মতিন বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এইচআর
 

Link copied!