Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪,

ভুট্টা চাষ: স্বল্প খরচে বেশি লাভ

গোসাইরহাট (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি

গোসাইরহাট (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি

মে ১১, ২০২৩, ০৩:২৭ পিএম


ভুট্টা চাষ: স্বল্প খরচে বেশি লাভ

মাঠের পর মাঠ ভূট্টা ক্ষেত। কিছু সবুজ আর কিছু বাদামি রঙের গাছ দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়। নামমাত্র শ্রমে, সামান্য সার ও অল্প খরচে অধিক লাভ পাওয়ায় শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার কৃষকরা ভূট্টা চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে গোসাইরহাট উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ভূট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা হলো ৫৬ হেক্টর জমিতে। কিন্তু এই উপজেলায় সরকারি প্রণোদনা বৃদ্ধি ও কৃষকের অধিক আগ্রহের কারণে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছে। সরকারি প্রণোদনা পাওয়ায় এবং ভালো ফলনের পাশাপাশি এখন পর্যন্ত ভালো দাম থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।

উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়নের কৃষক মোঃ জামাল আহমেদ চৌকিদার বলেন, আমি কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ও কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে এবার ৩৬ শতাংশ জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি। ভুট্টার ফলন এবার গতবছরের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে, আমার ভুট্টা চাষে সর্বমোট খরচ হয়েছে ১২ হাজার টাকার মত বাজারে ভালো দাম থাকায় এখন পর্যন্ত ২০ হাজার টাকার ভুট্টা বিক্রি করেছি, জমিতে এখনো যে ভুট্টা রয়েছে তা আরো ২০ হাজার টাকার মতো বিক্রি করতে পারব।

তিনি আরো বলেন সরকারি প্রণোদনা পাওয়ায় ব্লক পর্যায়ে এর আগে আমি ১০০ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছি, এখন ভুট্টার পাশাপাশি ২০ শতাংশ জমিতে ঢেঁড়সের চাষ করছি।

ভূট্টার পাইকারি ক্রেতা ও মজুদ ব্যবসায়ীরা বলেন, অন্যান্য শস্য কিনে মজুদ করলে লোকসানের সম্ভাবনা থাকে, এমনকি পোকার আক্রমণ হলে নিশ্চিত লোকসান গুণতে হয়। কিন্তু ভূট্টাতে আমাদের আজপর্যন্ত তেমন কোনো লোকসান গুণতে হয়নি।

গোসাইরহাট উপজেলা কৃষি অফিসার মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, আমরা সরকারি প্রণোদনার মাধ্যমে কৃষকদের ভুট্টা বীজ ও সার দিয়েছি। গোসাইরহাটে এই অর্থ বছরে আমরা যেই ভূট্টাবীজের জাতগুলো দিয়েছিলাম তার মধ্যে কাবেরী হান্ড্রেড এই জাতটি খুবই চমৎকার ফলন দিয়েছে এছাড়াও সুপার সাইন ও এসিআই এর কিছু ভুট্টা বীজ দিয়েছি, সেগুলোতেও ভালো ফলন হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ভুট্টা চাষে যেহেতু সেচের ও পরিচর্যা খরচ কম এবং লাভ তিনগুণ বেশি তাই এই উপজেলার কৃষকরা ভুট্টা চাষে আগ্রহী হচ্ছে। আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে উপজেলার বিভিন্ন বিস্তীর্ণ জমিগুলোকে যেন ভুট্টা চাষে কাজে লাগাতে পারি। তাহলে এই ভূট্টা গোসাইরহাটের কৃষকদের একটি বড় আয়ের উৎস হবে। উপজেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের প্রনোদনার মাধ্যমে যে ভুট্টার বীজগুলো দেওয়া হয় আমাদের সেই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

এআরএস
 

Link copied!