Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪,

কিস্তির টাকা না পেয়ে হারভেস্টার মেশিন বন্ধ করে দিলো এসিআই

উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

মে ১১, ২০২৩, ০৬:১০ পিএম


কিস্তির টাকা না পেয়ে হারভেস্টার মেশিন বন্ধ করে দিলো এসিআই

কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে বিলম্ব হওয়ায় কুড়িগ্রামের উলিপুরে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে সরকারি ভর্তূকী মূল্যে বিতরণ করা কম্বাইন্ড হারভেস্টার (ইয়ানমার) মেশিন মূল অফিস থেকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সুইচ টিপে বন্ধ করে দিয়েছে  এসিআই কোম্পানী।

ধান কাটা-মাড়াই মৌসুমে মেশিনটি বন্ধ করে দেয়ায় বিপাকে পড়েছে কৃষক ও মেশিন মালিক। এ বিষয়ে কৃষক আপেল মাহমুদ মঙ্গলবার (৯ মে) উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

জানা যায়, সরকার ধানকাটা মাড়াইয়ে দেশের শ্রমিক সংকট ও অভাব পূরণে কৃষি ব্যবস্থা আধুনিকরণে সারাদেশের ন্যায় জেলার উলিপুর উপজেলায় প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের জন্য ৩০ লাখ টাকা মূল্যের ৮টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন সরকার ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা ভর্তুকীতে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করে। শ্রমিক সংকট মোকাবেলায় ধান কেটে ঘরে তুলতে কৃষকদের সহায়তা করছে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনগুলো।

তবে হারভেস্টার মেশিন মালিকদের অভিযোগ, মেশিনগুলো নেওয়ার পর পরই মাড়াই মৌসুমে বারবার যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নষ্ট হওয়া নিয়ে কোম্পানীর কাছে সঠিক কোন সার্ভিস পাচ্ছেন না। কোম্পানীর প্রতিনিধির কাছে মেশিন মেরামত করতে চাইলে কিস্তির টাকা দ্রুত পরিশোধ করাসহ নানান অজুহাত ও তালবাহানা করছে কোম্পানীর লোকজন।

ধান কাটা মাড়াই মৌসুমে মেশিনের কিস্তি দিতে বিলম্ব হওয়ায় মঙ্গলবার (৯ মে) ডিজিটাল পদ্ধতিতে কোম্পানী অফিস থেকে সুইচ টিপে পৌরসভার হায়াৎখা গ্রামের কৃষক আপেল মাহমুদের কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন ও বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের হাগম বিলে ধান কাটা অবস্থায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে ধান কাটা-মাড়াই নিয়ে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় কৃষক ও মেশিন মালিক।

কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনের যান্ত্রিক ক্রটি ও কিস্তি না পেয়ে মেশিনটি বন্ধ করে দেয়ায় চলতি মাড়াই মৌসুমে কৃষকের পাকা ধান কাটতে শ্রমিক সংকটে ক্ষেতেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ধান। কৃষকরা মেশিন মাালিকের কাছে ধর্ণা দিয়ে ধান কাটতে না পেরে অনেকেই নিরুপায় হয়ে উচ্চমূল্যে শ্রমিক নিয়ে ধান কেটে বাড়ি নিয়ে মাড়াই করছে।

উপরোক্ত অভিযোগ অস্বীকার করে কোম্পানীর প্রতিনিধি আব্দুল জলিল বলেন, চুক্তি মেয়াদে কোম্পানীকে কিস্তির টাকা পরিশোধ না করায় মেশিন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। 

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোশারফ হোসেন জানান, কিস্তির বিষয়টি মেশিন মালিক ও কোম্পানীর। আমি কোম্পানির লোকের সঙ্গে কথা বলেছি। কৃষকদের সোনার ফসল ঘরে তুলতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন এটাই প্রত্যাশা কৃষক ও হারভেস্টার মেশিন মালিকদের কাছে।

এআরএস

Link copied!