Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

মহেশখালী উপকূলে মোখার তাণ্ডব

মহেশখালী (কক্সবাজার) প্রতিনিধি:

মহেশখালী (কক্সবাজার) প্রতিনিধি:

মে ১৫, ২০২৩, ০২:৩৬ পিএম


মহেশখালী উপকূলে মোখার তাণ্ডব
  • প্রাণহানি ৩, আহত ১৬
  • বিধ্বস্ত ৫০০ কাঁচা বসতঘর 
  • ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ

গত রবিবার চোখ রাঙিয়ে চলে গেল ঘূর্ণিঝড় মোখা। প্রাকৃতিক এ দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে ছিলো কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকা সেন্টমার্টিন, টেকনাফ, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া অঞ্চল। ঝুঁকিপূর্ণ এ ঘূর্ণিঝড়টি সারাদিন তাণ্ডব চালিয়ে অবশেষে বড় কোনো ক্ষতি না করে এলাকাগুলো থেকে মুখ ফিরিয়ে গতিপথ পাল্টায় পাশ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের দিকে। তাণ্ডব চালানো মোখার প্রভাবে সেন্টমার্টিন ও মহেশখালী উপকূলে ১৭শ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়, মহেশখালীতে প্রাণহানি ঘটে ৩ জনের আহত হয় ১৬ জন। এছাড়াও জেলার অন্যান্য উপকূলীয় এলাকা আরও ৩শ ঘরবাড়ি ভেঙে যায় বলে খবর পাওয়া যায়। 

মোখার প্রভাবে মহেশখালীর তিন মৃত ব্যক্তি হলেন- মহেশখালী হোয়ানক ইউনিয়নের কালাগাজীর পাড়া গ্রামের আবুল ফজলের ছেলে রিদোয়ান (৩৫), পানিরছড়া গ্রামের আকতার কবিরের ছেলে মুহাম্মদ নেছার (৩২) এবং অন্যজন পানিরছড়া বারঘরপাড়ার মৃত মতনের ছেলে মো. আনছার (৩০)। মৃত এ তিনজন ছাড়াও উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকার আরও ১৬জন শ্রমিক আহত হয়ে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহফুজুল হক।

জানা গেছে- রবিবার সকালে ঘূর্ণিঝড় শুরুর আগ মুহূর্তে হোয়ানকের পশ্চিমে পলিথিন ও লবণ নিরাপদে রাখতে লবণ শ্রমিকরা মাঠে গেলে অতিরিক্ত বাতাস ও বৃষ্টির মধ্যে কাজ করার ফলে কয়েকজন লবণ শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেখান থেকে তাদের মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়, পরে  বিকাল সাড়ে ৪টায় রিদওয়ান নামে এক লবণ শ্রমিককে হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে রাত ১০টা ও ১২টায় লবণ মাঠের পাশে পানিতে ভাসমান অবস্থায় বাকি দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।

এদিকে এ ভয়াবহ সাইক্লোনের প্রভাবে মহেশখালীর বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ৫শ কাঁচা বসতঘর ভেঙে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এলাকার শতাধিক পানের বরজ ও একাধিক ফসলি জমি। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বাজার হতে আমদানি করে দেশের ৩০ শতাংশ এলএনজি গ্যাসের চাহিদা পূরণ করা মহেশখালীর ২টি ভাসমান জাহাজ থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়ে চট্টগ্রাম নগরবাসী ও কুমিল্লা অঞ্চলের মানুষ৷ সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে- দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া কেটে যাওয়া মাত্রই মহেশখালির দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল পুনঃস্থাপন করে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক করা এবং গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো পুনরায় পূর্ণ সক্ষমতায় চালু করবে।

আরএস


 

Link copied!