উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
মে ১৬, ২০২৩, ০৮:০৫ পিএম
উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
মে ১৬, ২০২৩, ০৮:০৫ পিএম
কুড়িগ্রামের উলিপুরে বৈশাখ শেষে বৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে লন্ডভন্ড তববপুক ইউনিয়নে নির্মিত হওয়া উমানন্দ কলেজটি। সোমবার (১৫ মে) মধ্যরাতের কালবৈশাখী ঝড়ে কলেজটির ৬টি শ্রেনীকক্ষ ও ৫০টি বেঞ্চসহ আসবাবপত্র লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। ঘরের টিন ও সিঁড়িগুলো ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে।
১৯৬৫ সালে তববকপুর ইউনিয়নে উমানন্দ স্কুলটি নির্মান হয়। স্কুলটিকে ঘিরে ২০১৩ সালে নির্মান হয় কলেজটি। তববকপুর ইউনিয়নে এটিই একমাত্র কলেজ। প্রতিবছর ওই কলেজটি থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে স্নাতক পর্যায়ে পড়া-লেখা করে কর্মস্থানে যোগদান করছে। কলেজটিতে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে বিজ্ঞান, মানবিক ও কমার্স শাখায় ১৭৮ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে।
কলেজেটির শুভাকাঙ্খী রংপুর কারমাইকেল কলেজের ইংরেজি বিভাগের সাবেক সহকারি অধ্যাপক একেএম আব্দুল ওয়াদুদ জানান, ক্ষতিগ্রস্থের বিষয়টি জেনে ব্যথিত হয়েছি এ অবস্থায় উচ্চ মহলের সহযোগীতা কামনা করছি। সাবেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হাই, সাবেক সভাপতি আনিছুর রহমান, অভিভাবক ফজলু মিয়া, শহিদুর রহমান, হাসান আলী সাবু জানান, নির্মানকালে স্থানীয়দের সহযোগিতা ও পকেটের টাকা দিয়ে খুব কষ্ট করে নির্মান করা হয় এবং কলেজটি হওয়াতে এই এলাকার শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকবৃন্দ বেশ উপকৃত কিন্তু হঠাৎই এই ঝড়ে যে ক্ষতি হয়েছে তাতে ঘুরে দাঁড়ানো অসম্ভব।
কলেজটির মানবিক শাখার দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী শাহনাজ খাতুন, একাদশ শ্রেণির মিথিলা সরকার ও শারমিন আক্তার জানান, হঠাৎ ঝড়ে আমাদের কলেজটি উড়ে গিয়ে আমাদের পাঠদানের বিরাট ক্ষতি করেছে দ্রুতই ভবন নির্মান না হলে বিপদে পরবো। স্কুল শাখার প্রধান শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শামসুল আলম, কলেজ শাখার প্রভাষক ও প্রধান উদ্যাগক্তা - মিনহাজুল ইসলাম জানান, কলেজটি নির্মান করতে সব শেষ করেছি এখন নতুন করে এই ভবন নির্মান করা আমাদের পক্ষে অসম্ভব এবং দ্রুতই সরকার ভবন নির্মানের ব্যবস্থা না করলে শিক্ষার্থীরা ভিষন ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তাঁরা আরো জানান, কলেজটিতে ১১ জন শিক্ষক রয়েছি এখনো একজনেরও বেতন হয়নি।
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তারিকুল ইসলাম জানান, ঝড় হয়েছে জেনেছি প্রতিষ্ঠান প্রধান জানালে পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরএস