মোঃ সাইফুল ইসলাম, আখাউড়া প্রতিনিধি:
মে ১৭, ২০২৩, ০৮:১০ পিএম
মোঃ সাইফুল ইসলাম, আখাউড়া প্রতিনিধি:
মে ১৭, ২০২৩, ০৮:১০ পিএম
আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্পের কাজ আগামী জুন মাসের মধ্যেই শেষ হবে। ট্রায়াল রান শেষে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই এই রেলরুট দিয়ে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন হবে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করবেন। বুধবার (১৭ মে) দুপুরে আখাউড়া -আগরতলা রেল রুট পরিদর্শনে এসে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন এ কথা বলেছেন। মন্ত্রী এর আগে ট্রেনে করে চট্টগ্রাম থেকে আখাউড়ায় আসেন। এখান থেকে সড়ক পথে আখাউড়া মনিয়ন্দ এলাকার শিবনগর সীমান্ত পর্যন্ত রেলরুট ঘুরে দেখেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, সেপ্টেম্বর মাসে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী সময় দিলে এই রেলরুটটি উদ্বোধন করা হবে। সেই মতে চলছে কাজ। এরই মধ্যে ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়ে গেছে। কয়েক কিলোমিটার রুটে রেললাই বসানো বাকি আছে। রক্ষণা বেক্ষন শেষে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই নিয়মিত ট্রেন চলাচল শুরু করা যাবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, শুরুতে মিটার গেজে ট্রেন চলাচল করবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলরুটে ডাবল রেললাইন বসানোর কাজ প্রায় শেষের দিকে। তবে আখাউড়া থেকে টঙ্গী পর্যন্ত মিটার গেজ রেললাইন। এই রেলরুটে শিগগিরই ডুয়েল গেজ রেল বসানো হবে। তখন মিটার এবং ব্রডগেজ ট্রেন চলাচল করতে পারবে। আর তখনই আগরতলা-কলকাতা সরাসরি ট্রেন চলাচল করতে পারবে।
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্পটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্প। এই প্রকল্পটি প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ও রেলযোগাযোগ বাড়াতে ভূমিকা রাখবে। বাণিজ্য প্রসারিত হবে। পরিবহণ খরচ কম হবে বলে পণ্যের মূল্যও কমে আসবে।
২০১৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। ১৮ মাস মেয়াদী প্রকল্পটি প্রায় পাঁচ বছর পর শেষ হতে চলেছে। ভারতের নয়াদিল্লির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড এ প্রকল্পের কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশ পরিচালক শরৎ শর্মা বলেছেন, ৮০ ভাগ কাজ শেষে হয়েছে। সব উপকরণই এসে গেছে। এখন রাত-দিন কাজ চলছে। জুনের মধ্যেই ট্রায়াল রান করা হবে। সে মতেই কজ চলছে। তিনি বলেছেন, ছয় দশমিক শূন্য নয় কিলোমিটার রেলরুট নির্মাণ হচ্ছে। এরই মধ্যে তিন দশমিক শূন্য দুই কিলোমিটার রেলরুট বসানো হয়ে গেছে। অপর প্রশ্নে তিনি বলেছেন, এই প্রকল্পে দুইশো চল্লিশ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছিল। পাঁচ বছরে নির্মাণ উপকরণের দাম বাড়লেও প্রকল্প ব্যায় বাড়ানো হয়নি বলে বলেছেন, শরৎ শর্মা।
পরিদর্শনকালে মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন– আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের পরিচালক আবু জাফর মিয়া, টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কান্ট্রি ডিরেক্টর শরৎ শর্মা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রুহুল আমিন, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা প্রমুখ
আরএস