Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

ইন্টারনেটে অশ্লীল ছবি ছাড়ার হুমকী

নান্দাইলে ৫২ দিনেও গ্রেপ্তার হয়নি ছাত্রী ধর্ষণ মামলার আসামি

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

মে ২৭, ২০২৩, ০৭:৩০ পিএম


নান্দাইলে ৫২ দিনেও গ্রেপ্তার হয়নি ছাত্রী ধর্ষণ মামলার আসামি

ময়মনসিংহের নান্দাইলে স্কুল পড়–য়া ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী (১৪)কে জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনায়  মামলার বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে অভিযুক্ত ধর্ষক ও ধর্ষকের পরিবারের লোকজন। ধর্ষন মামলা তুলে না নিলে ধর্ষকের ধারনকৃত ওই ছাত্রীর অশ্লীল ছবি পুনরায় ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিবে বলে পরপর সেলফোনে ও প্রকাশ্যে বাদী ও বাদীর পরিবারকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ধর্ষকের প্রাণনাশের হুমকীর ভয়ে বাদী তাঁর ও পরিবারের জানমাল নিরাপত্তা চেয়ে নান্দাইল মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়েরী নথিভূক্ত করেছে। অতপর থানায় ধর্ষন মামলা দায়েরের ৫২ দিন অতিবাহিত হলেও অজ্ঞাত কারনে ধর্ষককে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না বলে বাদী অভিযোগ করেন। গত ৫ই এপ্রিল থানায় দায়েরকৃত মামলা নং ৪(৮৮) সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত ধর্ষক নান্দাইল উপজেলার সিংরাইল ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের রোহান মিয়ার পুত্র আকরামুল (২৫)। গত ৩০শে মার্চ/২০২৩ইং সন্ধ্যার পর একই গ্রামের (বংশীয়) আপন চাচাতো ভাইয়ের কন্যা (স্কুল পড়–য়া ভাতিজী)কে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে বাড়ির পিছনে পতিত জমিতে হুমকীর মুখে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং মোবাইলে অশ্লীল ছবি তুলে। পরবর্তীতে ধর্ষক আকরামুল ওই ছাত্রীর কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবী করে অন্যথায় ছাত্রীর অশ্লীল ছবি নেটে ছেড়ে দিবে বলে হুমকী দেয়। কিন্তু টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় সেই ছবি ইন্টারনেটে ছেড়েও দেয় অভিযুক্ত। 

পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ছাত্রীর আপন চাচা জামাল মিয়া বাদী হয়ে নান্দাইল মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অভিযুক্ত ধর্ষক আকরামুলকে আসামী করে একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন। এতে ধর্ষনের শিকার ওই ছাত্রী ২২ ধারায় জবানবন্দি দেয়। কিন্তু একাধিকবার মেডিকেল টেস্টের নামে ওই ছাত্রী ও ছাত্রীর পরিবারকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে বাদী অভিযোগ করেন। 

তিনি আরও বলেন, ওই মামলা তুলে নিতে অভিযুক্ত ধর্ষক আমার প্রাণনাশ সহ পুনরায় অশ্লীল ছবি ইন্টারনেটে ছাড়ার হুমকী দিয়ে যাচ্ছে। জরুরীমতে ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন বাদী পরিবার। 

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সুজন মিয়া বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। এছাড়া ফরেনসিক অফিস থেকে কল আসছে যে, ওই ছাত্রীকে ডাক্তারের কাছে পাঠানোর জন্য। আমি এতটুকুই জানি। তবে লিখিত কোন নির্দেশনা পায়নি। 

নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেন, আমি সদ্য যোগদান করেছি। বিষয়টি আমার জানা নেই।  

আরএস
 

Link copied!