বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
জুন ৪, ২০২৩, ০৫:০৬ পিএম
বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
জুন ৪, ২০২৩, ০৫:০৬ পিএম
হবিগঞ্জের বাহুবলে প্রায় ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে সরকারী খাল খনন কাজে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে চন্দনিয়া গ্রামের ছালেক আহমেদ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা যায়, বাহুবল উপজেলার ৪নং সদর ইউনিয়নের লামা নোয়াগাও,চন্দনিয়া ও বালিচাপড়া সহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ অল্প বৃষ্টি হলেই পানি বন্দী হয়ে পড়েন। এ বিষয়ে এলাকাবাসী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পানি নিষ্কাশনের জন্য দাবী জানালে আইপিসিপি প্রকল্প থেকে খাল খননের জন্য ২১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।
স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবী ও আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারীভাবে লামা নোয়াগাও হইতে জোজনাল নদী পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার(১ হাজার ৫শত মিটার) খাইয়া খাল খননের দায়িত্ব দেয়া হয় এ কে এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে। ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খাইয়া খাল খনন কাজের শুরু থেকেই কাজে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ তুলেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাটি কেটে খালের এক পাড়ে স্তুপ করে রেখেছে, কিন্তু অপর পাড়ে বিভিন্ন স্থানে কোন মাটি না দিয়েই প্রায় শেষ সীমানায় চলে আসছে।
বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসলে তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।পরে এলাকাবাসীর পক্ষে খাল খননে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ এনে ছালেক আহমেদ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রকৌশলী বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী রাকিব হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, খাল খননের কাজ এখনও চলমান রয়েছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
আরএস