চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
জুন ১৪, ২০২৩, ০৫:৩১ পিএম
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
জুন ১৪, ২০২৩, ০৫:৩১ পিএম
আউশ ধান চাষের সময় বৃষ্টি না হওয়ায় আলমডাঙ্গা ধান উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টির অভাবে উপজেলার কৃষকরা জমি চাষ করতে না পারায় অনেক কৃষক এ ধান চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। এদিকে, অতিরিক্ত সেচ দেয়ার ফলে বাড়তি খরচ হচ্ছে বলে জানা গেছে।
কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গার ১৫টি ইউনিয়নে চলতি বর্ষা মৌসুমে আনুমানিক ৬ হাজার ৭ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে ধান লাগানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
বর্ষা মৌসুমেও শ্যালোমেশিন দিয়ে আউশধানের জমিতে পানি দিতে হচ্ছে ডিজেলের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা খরচ নিয়ে চিন্তিত।
উপজেলার জামজামী ইউনিয়নের আরিফুল ইসলাম জানান, প্রতি বছর যেখানে প্রতি বিঘা ধান চাষে খরচ হতো ৮ হাজার থেকে সাড়ে ৮ হাজার টাকা সেখানে এ বছর শ্যালোমেশিন দিয়ে সেচ দিয়ে ধান লাগানো হয়েছে। লাগানোর পর অনাবৃষ্টির কারণে জমি শুকিয়ে যাওয়ায় প্রায় প্রতিদিন সেচ দিতে হচ্ছে।
যার কারণে দিনদিন উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে প্রতি বিঘায় ৩ হাজার টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে। ধান উৎপাদন শেষে তাদের লাভ হবে না বলে জানান কৃষকরা।
ডাউকি এলাকার মিজানুর জানান, ধান উৎপাদন শেষে নায্যমূল্য ও অতিরিক্ত খরচের টাকা পাবো নাকি সে চিন্তাতেও রয়েছেন।
আলমডাঙ্গা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদফতরের কৃষি সমপ্রসারণ অফিসার সোহেল রানা জানান, এখন পর্যন্ত বৃষ্টিপাত না হলেও ইতোমধ্যে ৬ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আউশ ধান লাগানো হয়েছে। তিনি জানান লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও আউশধান আমাদের উপজেলায় বেশি হতো বলে মনে করি কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় ধানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে।
এইচআর