Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪,

বিয়ের দু‍‍`দিন পর জানতে পারলেন স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা

মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি

মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি

জুন ১৫, ২০২৩, ০৩:৫৯ পিএম


বিয়ের দু‍‍`দিন পর জানতে পারলেন স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা

রংপুরের মিঠাপুকুরে বিয়ের দু‍‍`দিন পর নব‍‍`বধূর শারীরিক পরিবর্তন দেখে সন্দেহ হলে আল্ট্রাসনোগ্রাম করার পর পরিবারের সদস্যরা জানতে পারলেন তাদের সদ্য বিবাহিত পুত্রবধূ পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। অনাগত এই সন্তানের বাবা কে! তা নিয়ে এখন পর্যন্ত ঐ নববধূ মূখ খোলেনি।

তবে তার স্বামী এই সন্তানের বাবা নয় বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন ঐ নববধূ। এদিকে অনাগত এই সন্তানটি যাতে কেউ নষ্ট করতে না পারে এবং (ডিএনএ) টেস্ট করে পিতৃ পরিচয় নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে প্রতারনার অভিযোগ এনে থানায় একটি লেখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ছেলের পরিবার।

নববধূর স্বামী এবং শ্বশুর বাড়ির লোকজনের অভিযোগ- উপজেলার ৭ নং লতিবপুর ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মো. মালেক মিয়ার নাবালিকা কন্যা (১৪) সঙ্গে একই উপজেলার পাশ্ববর্তী ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামের মো. নোরুল ইসলামের পুত্র মো. রেদওয়ান (২৫) কাঁচামাল ক্রয় করতে গিয়ে পরিচয় এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। দু‍‍`জনের পরিচয়ের সূত্র ধরে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে মালেক মিয়া এবং তার পরিবার রেদওয়ানের সঙ্গে তার নাবালিকা কন্যার গত-৪ জুন কাবিনমূলে বিয়ে দেন।

বিয়ের দু‍‍`দিন পর অথ্যাৎ গত-(৬- জুন) ঐ নাবালিকা নববধূ তার শ্বশুর বাড়ি জালালপুরে অবস্থান কালে তার স্বামী রেদওয়ান এবং তার পরিবারের লোকজন, ঐ নাবালিকা নববধূর শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করে প্রথমে তাকে একান্তভাবে জিজ্ঞেস করলে তার পেটে সন্তান রয়েছে বলে স্বীকার করে।

বিয়ের দু‍‍`দিন আর তাতেই পুত্রবধু গর্ভবতী এমন সন্দেহ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য নববধূর শ্বশুর, শ্বাশুড়ি, ননদ, হাসপাতালে গিয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাম করলে ডাক্তার জানায়, মেয়েটি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এতে রহস্যের সৃষ্টি হয়।

কিভাবে এমনটা হলো, তার বিষয়ে জানতে রেদওয়ান তার শ্বশুর মালেক মিয়াকে জরুরি হাসপাতালে ডাক দিলে মালেক মিয়া তার স্ত্রীসহ জামাই রেদওয়ান এবং তার পরিবারের লোকজনকে জানায়,আপনারা আমার মেয়েকে রেখে চলে যান,বিষয়টি আমরা দেখছি। পরে মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বাচ্চা নষ্টের চেষ্টা করে। তবে বাচ্চার আকার আকৃতি বড় হওয়ায় এবং নাবালিকার বয়স কম হওয়ায় কেউ তাকে বাচ্চা নষ্ট করতে সহযোগিতা করেনি।

বিষয়টি স্হানীয়ভাবে মিমাংসা না হওয়ায় অবশেষে নোরুল হক,মিঠাপুকুর থানায় দু‍‍`জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দায়ের করেন। এ বিষয়ে ঐ নাবালিকা নববধূর দাবি, এটা কার সন্তান সে তা বলতে পারবেনা। তবে এই সন্তানের বাবা রেদওয়ান নয়। আব্দুল মালেক জানান, ওরা যদি আমার মেয়েকে নিয়ে সংসার করতে না চায় তাহলে উভয়পক্ষ বসে সমাধান করবো। তাদের কাছে আমার কোনো দাবি নেই। কিভাবে কি হয়েছে আমি তা জানার চেষ্টা করছি। নববধূর স্বামীর দাবি, আমার সাথে বিয়ের তিনমাস আগ থেকে পরিচয়, অথচ সন্তানের বয়স পাঁচ মাস। কিভাবে এ সন্তান আমার হয়।

মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান বলেন, এ বিষয়ে ছেলের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা কি বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।

এইচআর

Link copied!