Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪,

স্বামীহারা বৃদ্ধার পাশে দাড়ালেন গোসাইরহাটের ইউএনও

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

জুন ১৭, ২০২৩, ০৫:০৭ পিএম


স্বামীহারা বৃদ্ধার পাশে দাড়ালেন গোসাইরহাটের ইউএনও

মানবিকতার এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ সৃষ্টি করলেন শরীয়তপুরের গোসাইরহাটের (ইউএনও) কাফী বিন কবির।

শুক্রবার (১৬ জুন) সকাল ১০ টায় দাপ্তরিক কাজে উপজেলার ধীপুর গ্রাম পরিদর্শনে আসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এসময় তিনি একটি জরাজীর্ণ টিনের ঘর দেখে উৎসুক হয়ে দেখতে যান সেখানে কে থাকেন। 

ভিতরে গিয়ে দেখেন ষাটোর্ধ এক বৃদ্ধা ভাত রান্না করছেন। ঘরের ভেতর টিনের চালের বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গা ও ফুটো রয়েছে। বৃদ্ধা পলিথিন দিয়ে ভাঙ্গা স্থান ঢেকে ঘরে বৃষ্টি পরা রক্ষার চেষ্টা করেছেন।

অসহায় বৃদ্ধার সাথে কথা বলে জানা যায়, ওনার নাম জাহানারা বেগম (৬২) তার স্বামী আবুল আকন মারা গেছে ২০ বছরের বেশি সময়। ছেলে মেয়েরা তাকে দেখেনা। স্বামীর ভিটার ৩শতাংশ জমির উপর বসবাস করেন তিনি। সংস্কারের অভাবে তার ঘরটি এখন ছাপড়ার মত দেখাচ্ছে। এর ওর থেকে সাহায্য নিয়ে ও ভিক্ষা করে দিন চলে তার। আগে অন্যের বাড়িতে কাজ করতেন। এখন তাও পারেন না।

জাহানারা বেগমের অবস্থা দেখে সাথে সাথে তাকে দুই বান টিন ও ৬ হাজার টাকা ঘর মেরামত বাবদ দেয়ার ব্যবস্থা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কাফী বিন কবির। নিজের পকেট থেকে আর্থিক সাহায্য দেন এবং ঈদ উপলক্ষ্যে সরকার প্রদত্ত চাল ও উপহার দেয়ার ব্যবস্থা করেন।

ঘর মেরামতের সুযোগ পাওয়ায় জাহানারা বেগম বলেন, অনেক ইউএনও স্যার দেখেছি তবে এমন দয়াবান মানুষ দেখিনি। এই বর্ষায় আমার আর ঘর নিয়ে চিন্তা করতে হবেনা। আল্লাহ তাকে ভালো রাখুক।

এবিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুজন দাশ গুপ্ত বলেন, ইউএনও স্যার সবসময় এই ধরণের জনকল্যাণমূলক কাজ করে থাকেন। তিনি প্রথাগত কাজের চেয়েও বাস্তবমূখী কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে পছন্দ করেন। অসহায়দের সাহায্য করে তিনি আনন্দ পান।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কাফী বিন কবিরের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটাই আমার প্রকৃত কাজ। অফিসে বসে ফাইল স্বাক্ষর ও মিটিং করা তো সবাই পারে। তবে যোগ্য ব্যক্তির কাছে সরকারি সেবা পৌঁছে দিতে না পারলে কোনদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা ও প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব না। সরকার এই কাজের জন্যই আমাদের নিয়োগ দিয়েছে।

এসময় তিনি বাস্তব অবস্থা দেখে আরো আটটি পরিবারের জন্য টিন ও নগদ অর্থের ব্যবস্থা করেন। তার এই উদ্যোগে তাকে প্রশংসা করেছেন এলাকাবাসি।

এইচআর

Link copied!