Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪,

নাটোরে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ৫ লক্ষাধিক পশু

মো. মনজুর-ই-মওলা সাব্বির, নাটোর

মো. মনজুর-ই-মওলা সাব্বির, নাটোর

জুন ২৩, ২০২৩, ০৯:২০ পিএম


নাটোরে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ৫ লক্ষাধিক পশু

নাটোর জেলায় আসন্ন ঈদ-উল-আযহায় কোরবানির উদ্দেশ্যে ৫ লাখ ২০ হাজার ২৩৮ পশুকে প্রস্তুত করেছেন খামারিরা। জেলার ভিতরে চাহিদা মিটিয়েও বাহিরের জেলায় এসব কোরবানির পশু বিক্রির উদ্দেশ্যে ব্যাপারিরা কিনে নিয়ে যাবেন।

নাটোরের হাটগুলোতে পশু বিক্রয়ের পাশাপাশি অনলাইনেও বিক্রয়ের ব্যবস্থা আছে। এই ৫ লক্ষাধিক কোরবানির পশুর মধ্যে গরু ও মহিষ আছে ১ লাখ ১১ হাজার ২৩৪। বাকি ৪ লাখ ৯ হাজার ছাগল ও ভেড়া। এসব পশুর বাজারমূল্য অন্তত ২০০০ কোটি টাকা। এবার নাটোর জেলায় প্রায় ২ লাখ ৫১ হাজার কোরবানির পশু জবাই হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগ।

নাটোর জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলায় ছোট বড় মিলিয়ে মোট ১৮ হাজার ১৫০টি পশুর খামার রয়েছে। এসব খামারে পাকিস্তানের শাহীওয়াল, ভারতের রাজস্থান ও উলুবাড়িয়া জাতের গরু পালন করা হয়েছে। লাল, সাদা, কালো রঙের বা মিশ্র রংয়ের এক একটি গরু লম্বায় ৯ ফুট ও উচ্চতায় ৬ ফুটেরও বেশি।

নাটোরের বিভিন্ন খামারের খামারীরা জানান, প্রাণিসম্পদ বিভাগের পরামর্শে পুষ্টিকর খাবার- খৈল, গম, ভুষি, ছোলাসহ সবুজ ঘাস খাইয়ে খুব সহজেই গবাদিপশু পালন করেছেন। ক্ষতিকর স্টেরয়েড বা হরমোন তারা ব্যবহার করেননি।

নাটোর জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. গোলাম মোস্তফা জানান, সরকারি ব্যবস্থাপনায় ইতোমধ্যে নাটোরে কোরবানির পশুর হাটের পাশাপাশি ৯টি অনলাইন প্লাটফর্মে পশু বিক্রয়ের ব্যবস্থা আছে। তিনি জানান জেলার সব পর্যায়ের খামারে প্রতিষেধক ও কৃমিনাশক ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে।

এছাড়াও ঘাস, কচি ভুট্টা ও লালি দিয়ে বিশেষভাবে তৈরী সাইলেজ খাদ্য হিসেবে পশু গুলোকে খাওয়ানো হয়েছে। এই সাইলেজ অত্যন্ত প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। ক্ষতিকারক স্টেরয়েড ও হরমোন প্রয়োগের বিরুদ্ধে খামারীদের পূর্ব থেকেই সচেতন করা হয়েছে। তার পরিবর্তে সাইলেজ খাওয়ানোর প্রতি খামারীদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে।

করোনার প্রকোপের ব্যাপার বিবেচনায় রেখে এবারেও প্রতি হাটেই মাস্ক ব্যবহারের প্রতি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। হাটে কোরবানির পশুর তাৎক্ষণিক চিকিৎসার জন্য ৩-৪জন সদস্য বিশিষ্ট মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও জানান এই প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা। প্রতি বছরের মতো এবারেও জেলায় প্রসিদ্ধ ১৪টি হাটে কোরবানির পশু কেনা বেচা হবে। তাছাড়াও আরোও কিছু অস্থায়ী হাট বসতে পারে।

জেলার সবচেয়ে বড় কোরবানির পশুর হাট হচ্ছে রবিবার নাটোর সদরের তেবাড়িয়া, সোমবার গোপালপুরের মধুবাড়ী ও সিংড়া ফেরিঘাট, মঙ্গলবার চাঁচকৈড় ও জোনাইল, বুধবার হাতিয়ান্দহ, গুনাইখারা ও দয়ারামপুর ছাগলের হাট, বৃহস্পতিবার সদরের মোমিনপুর হাট, বড়াইগ্রামের মৌখাড়া হাট বসে শুক্রবার, শনিবারে বাগাতিপাড়ার পেড়াবাড়িয়া, নলডাঙ্গা ও গুরুদাসপুরের চাঁচকৈড় হাট। এছাড়াও করোটা ও লাল মনিপুরেও ঈদ-উল-আযহার সময় সাময়িকভাবে এলাকাবাসির উদ্যোগে পশুর হাট বসানো হয়।

এইচআর

Link copied!