ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি
জুলাই ৩, ২০২৩, ০২:৫২ পিএম
ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি
জুলাই ৩, ২০২৩, ০২:৫২ পিএম
খুলনার ডুমুরিয়ার রোস্তমপুর গ্রামে এক কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে সদ্য নির্মিত পৌনে ২ কিলোমিটার সড়কে কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ করার মাত্র ৭দিনেই ঘাস জন্মেছে। আর দুদিনের বৃষ্টিতেই সড়কে পাশ ধসে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা ও যশোর জেলার কেশবপুর সীমান্তবর্তী রোস্তমপুর গ্রামের মধ্য দিয়ে বয়ে চলা গ্রাম্য একটি সড়ক ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বাস্তবায়নের কাজ করে। শুরুতে নিম্নমানের খোয়া ইট ব্যবহার করা হয়।
এলাকাবাসী বাঁধা দিয়েও কোন সুরাহা হয়নি। এরই মধ্যে বিগত অর্থবছর শেষ হওয়ার আগেই ঠিকাদার নামমাত্র পাথরের খোয়া ও বিটুমিন ব্যবহার করে রাস্তার কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ করে। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই কার্পেটিং ভেদ করে ঘাস জন্মেছে। তাছাড়া রাস্তার পাশে প্রয়োজনীয় মাটি না দেয়া বিভিন্ন স্থানে ধসে পড়েছে।
সাতক্ষীরা-যশোর সড়কের চুকনগর বাজার পার হলেই চুকনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়। এর কিছুটা পশ্চিম দিকে গিয়ে মহাসড়ক থেকে উত্তরে চলে গেছে চুকনগর-রোস্তমপুর সড়ক। মাটির কাঁচা গ্রাম্য সড়কটি পাকা করা এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে স্থানীয় এমপি নারায়ণ চন্দ চন্দের চেষ্টায় ওই সড়কটি পীচ ঢালা কার্পেটিং সড়ক নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়।
১ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ১ হাজার ৭০০ মিটার দৈর্ঘ্যের কাজটি পায় জনৈক ইকবাল হোসেন জমাদ্দার নামে এক ঠিকাদার।
রোস্তমপুর গ্রামের শংকর ঘোষ, হাতেম আলি মোড়ল, শ্যামল মণ্ডল আজাহারুল ইসলামসহ স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, সপ্তাহ খানেক আগে ঠিকাদার রাস্তায় পীচ দিয়ে গেছে। এরই মধ্যে পীচ ফুড়ে ঘাস উঠেছে।
আটলিয়া ইউনিয়নের রোস্তমপুর ওয়ার্ড শাখা আ.লীগ সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রশাসনের লোকজনেরা সঠিকভাবে কাজের তদারকি করেনি। ঠিকাদার ও ইঞ্জিনিয়ার অফিসের লোকজনের যোগসাজসে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজে নয়ছয় হয়।
এই রাস্তার কাজে শুরুতেই ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। কাজের ঠিকাদার ইকবাল হোসেন জমাদ্দার জানালেন, ঘাস গজানোর তথ্য সঠিক নয় এটি সাংবাদিকদের কারসাজি। তিনি বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে কয়েকটি স্থানে ধসে পড়েছে তা অবশ্য ঠিক। বৃষ্টি থেমে গেছে এখন ঠিক করে দেয়া হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. রবিউল ইসলাম জানান, পাথরের নীচে ঘাসের বীজ থাকলে সেটি কার্পেটিং ভেদ করে জন্মাতে পারে। যানবাহন চলাচল করলে ঘাস মরে যাবে। তিনি বলেন, সড়কের কাজ সিডিউল অনুযায়ি ঠিকাদারকে শেষ করতে হবে। কোন অনিয়ম মেনে নেয়া হবে না।
এইচআর