Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪,

কেরানীগঞ্জের রাস্তাঘাটে কোরবানি পশু হাটের বর্জ্য

কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি

কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি

জুলাই ৪, ২০২৩, ০৮:৩৪ পিএম


কেরানীগঞ্জের রাস্তাঘাটে কোরবানি পশু হাটের বর্জ্য

ঈদের সপ্তাহ পেরুলেও অপসারিত হয়নি কেরানীগঞ্জের কোরবানি পশু হাটের বর্জ্যসহ বাঁশখুঁটি! যানবাহন চলাচলের রাস্তায়, মার্কেট, হাসপাতালের সামনে পশুর হাট বসায় স্থানীয় দোকানী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বিরাট লোকসানের পর রাস্তায় পড়ে থাকা বর্জের কারণে ঈদের এক সপ্তাহ পরও চরম দুর্ভোগে  পথচারীসহ এলাকাবাসী।

ইজারাদাররা বলছে তাদের আওতায় পড়ে এমন বর্জ অপসারণ করা হচ্ছে। কিছু বর্জ সাধারণ মানুষের দেওয়া কোরবানির বর্জ। এগুলো আমাদের আওতায় পড়ে না। উপজেলা প্রশাসন বলছে ইজারাদারদের নির্দেশনা দেওয়া আছে দ্রুত সময়ের মধ্যে বর্জ অপসারণের ব্যাপারে। অস্থাই পশুর হাটে ময়লা-আবর্জনা থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।

মঙ্গলবার (০৪ জুলাই) সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার আগানগর আমবাগিচা পশুর হাট, জিনজিরা পশুর হাট, হাসনাবাদ অস্থায়ী পশুর হাটসহ বিভিন্ন হাটে গোবর, খড়-কুড়া, ভাঙা বাঁশ-খুঁটি ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে। রাস্তার মোড়ে, হাসপাতালের সামনে, মানুষের বাড়ীর কোণে এমনকি মূল সড়কেও পড়ে রয়েছে বর্জ্য। এতে করে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটার পাশাপাশি  আশপাশের বাড়িঘরের মানুষজন দুর্গন্ধে টিকতে পারছেন না।

এদিকে টানা বৃষ্টির কারণে পশুর বর্জ্য সড়কের পানিতে মিশে যাওয়ায় দুর্গন্ধে নাক চেপে চলাচল করছে পথচারীরা। ঈদের সাতদিনেও পশুর হাট শেষ হয়েছে। অথচ এখনও হাটের জায়গা পরিষ্কারের তেমন কোনো ভূমিকা নেই কর্তৃপক্ষের।

আগানগর ডিগ্রি কলেজ রোডের বাসিন্দা হোসেন ফারুক বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও হাটের বর্জ্য  অপসারণ করতে দেরি করা হচ্ছে। যুবক পারভেজ রেজা বলেন, আগানগর মাঠের আশপাশের প্রায় প্রতিটি রাস্তাতেই পশুহাটের বর্জ্য ছড়িয়ে আছে। তা থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। কদমতলি এলাকার পথচারী ইয়াসিন আলী বলেন, আগানগর হাটের বর্জ্য কদমতলি লন্ডন স্কুলের সামনে বালু, গোবর, খড়কুটো এখনও পড়ে আছে। এযেন দেখা কেউ নেই। হাসনাবাদ এলাকার বাসিন্দা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী জানান, হাটের ময়লা আবর্জনা সব নদীর পাশে ফেলা হচ্ছে। বৃষ্টির পানিতে পঁচে এগুলো দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ইজারাদার প্রভাবশালী হওয়ায় সাধারণ মানুষ কিছুই বলতে পারছে না। আমরা চাই না রাস্তায় কোরবানির হাট বসুক।

এবিষয়ে আগানগর হাট ইজারাদার মীর আসাদ হোসেন টিটু বলেন, হাটের বর্জ্য অপসারণের কাজ  চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। তিনি বলেন, কদমতলি এলাকার বর্জ্য আমাদের হাটের নয় এবং এসব বর্জ্য ব্যাপারীদের।

অন্যদিকে হাসনাবাদ গবাদিপশুর হাটের সকল ময়লা বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলার কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে স্থানীয়রা। তাছাড়া এখন হাটের বিভিন্ন জায়গায় পড়ে আছে ময়লা আবর্জনা। এব্যাপারে হাটের ইজারাদার ফরহাদ হোসেন কে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ ফয়সল বিন করিম বলেন, পশুর হাট শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বর্জ্য সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যারা বর্জ্য সরিয়ে ফেলেনি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরএস

Link copied!