সিরাজদীখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
জুলাই ১৬, ২০২৩, ০৬:০০ পিএম
সিরাজদীখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
জুলাই ১৬, ২০২৩, ০৬:০০ পিএম
বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান বাজারের স্যার পট্টির রাস্তাটি প্রধান ফটকে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে রয়েছে। এতে করে ক্রেতা-বিক্রেতাদের চলাচলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
রবিবার বিকেল ৫ টার দিকে সিরাজদীখান বাজারের স্যার পট্টি এলাকার হাজী মো.তাজুল ইসলামের দোকানে সামনের রাস্তয় এ জলাবদ্ধতা সৃষ্টির চিত্র দেখা গেছে। এতে পানি পচা দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে ব্যবসায়ী ও বাজারে আসা মানুষজনের। তাই তারা পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছেন।
জানা যায়, এই উপজেলার সবচেয়ে বেশি সার ব্যবসায়ী এই পট্টিতে রয়েছে। এখান থেকে উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের কৃষকেরা তাদের কৃষি পণ্য ক্রয় করে থাকেন। সেই জন্য প্রতিদিন বড় গাড়ি প্রায় অর্ধশত এবং অটোরিকশা,রিকশা মিলে প্রায় ২০০ উপরে প্রতিদিন চলাচল করে থাকে। এছাড়া এই পট্টিতে বিভিন্ন কোম্পানির বড় বড় ডিলার এবং ধান-সরিষারসহ বিভিন্ন ফসলের আশ সরানোর জন্য বড় বড় মিল-কারখানাও রয়েছে।
সিরাজদীখান বাজার সার পট্টির ব্যবসায়ী ফেরদৌস হাসান পিন্টু বলেন, বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকেই আমাদের রাস্তায় পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে থাকে। এতে করে মশা-মাছির উপদ্রব বেড়েছে। আমরা চাই বাজার বণিক সমিতি পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে দিবে। যদি পানি নিষ্কাশনের জন্য আমাদের আর্থিক সহায়তা দিতে হয় সেটাও দিব, তারপরও এখান থেকে পানি সরানো দরকার। তা না হলে বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের অনেক দুর্ভোগ হচ্ছে। তাই দ্রæত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানাচ্ছি।
আরেকজন ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন জীবন বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই রাস্তার প্রধান ফটকে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে থাকে। দোকান মালিকরা ইচ্ছা করলে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে পারে,কিন্তু সেটি করছে না, এতে করে বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের অনেক দুর্ভোগ হচ্ছে। এছাড়া এই জলাবদ্ধতার কারণে অনেক ক্রেতারাও আসতে চায় না দোকানে। এর ফলে আমাদের লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি হচ্ছে। তাই দ্রæত পানি নিষ্কাশনের দাবি জানাচ্ছি।
স্যার পট্টি এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ীরা জানান, একটু বৃষ্টি আসলেই এই রাস্তাটির পিন্টুর দোকানের সামনের স্থানে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে থাকে। কিন্তু বাজার কমিটির কোনো নজরই পড়ছে না। এই কাদা পানির জন্য ক্রেতারা আসতে চায় না। তারা মাঝে মধ্যেই রাস্তা থেকে পানি সরানোর কাজ করেন। কিন্তু এখন যেহেতু বর্ষা মৌসুম, দু-এক দিন পরপর বৃষ্টি আসে, তাই রাস্তায় পানি জমে যায়। তারাপানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছেন।
সিরাজদীখান বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো.মোতাহার হোসেন বলেন,সার পট্টি এলাকার রাস্তার মুখে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে রয়েছে। রাস্তার দুই পাশের দোকান মালিকরা ইচ্ছা করলে একটি পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে পারে। এতে করে তারাই লাভবান হবে। কিন্তু সেটা করছে না, খুবই দুঃখজনক। আমরা চেষ্টা করছি যাতে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে দেওয়া যায়।
আরএস