Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৪,

যুবলীগ নেতা হত্যায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন ১৪

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

জুলাই ২৬, ২০২৩, ০৩:৩৩ পিএম


যুবলীগ নেতা হত্যায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন ১৪

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি মামুনুর রশীদ হত্যা মামলায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড ও ১৪ জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বুধবার (২৬ জুলাই) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দা আমিনা ফারহিন এ রায় ঘোষণা করেন। মামলায় মো. সোহেল ও গোলাম রাব্বী নামে দুজনকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।

নিহত মামুনুর রশিদ সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি চন্দ্রগঞ্জের আমানি লক্ষ্মীপুর গ্রামের আবু তৈয়ব খানের ছেলে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. মধু, মো. মামুন, বাবু ওরফে গলাকাটা বাবু, মো. শামীম, কাউছার ওরফে ছোট কাউছার। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জাহাঙ্গীর আলম, নেহাল, মো. বোরহান, মো. তুহিন, জাকির হোসেন, সোহরাব হোসেন, বাছির আহাম্মদ, মো. মিজান, আলমগীর হোসেন, কছির আহম্মেদ, কামরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, তারেক আজিজ সুজন, মো. টিপন ওরফে জাহাঙ্গীর আলম। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- মো. সোহেল ও গোলাম রাব্বি।

জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রায়ের সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মধু ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত টিপন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিরা পলাতক।

মামলার এজাহার সূত্র জানায়, রাজনীতি ও সমাজসেবামূলক কাজে জড়িত থাকায় তখনকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী সোলায়মান উদ্দিন জিসানের সঙ্গে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। জিসান বাহিনীর সদস্যরা মামুনকে হত্যার জন্য হুমকি দিতেন। জিসান র‍্যাবের হাতে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। এতে জিসানের ছোটভাই তুহিন সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান হয়ে এলাকায় অরাজকতা সৃষ্টি করে আসছিলেন। আর এ সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজনকে গ্রেফতারে পুলিশকে সহযোগিতা করেন মামুন ও পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের ওমর ফারুক।

এদিকে সন্ত্রাসী জিসান হত্যার ঘটনায় মামুন ও ওমর ফারুক নামে আরও এক ব্যক্তিকে দায়ী করে তুহিন। এ কারণে তুহিন সন্ত্রাসী বাহিনীর সক্রিয়দের নিয়ে মামুন ও ফারুককে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ২০১৫ সালের ১৮ মে রাতে মোটরসাইকেলযোগে মামুন চাটখিলের দেলিয়ার বাজার থেকে বাড়ির দিকে আসছিলেন। পথে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরদিন মামুনের ভাই ফখরুল ইসলাম বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৪-১৫ জনকে আসামি করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা করেন।

২০১৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোলাম হাক্কানি আদালতে ২১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড, ১৪ জনের যাবজ্জীবন এবং ২ জনকে বেকসুর খালাস দেন।

অন্যদিকে মামুন হত্যার সাড়ে তিন মাস পর একই আসামিরা ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর সকালে সদর উপজেলার পশ্চিম লতিফপুর গ্রামে ওমর ফারুককে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় ফারুকের স্ত্রী বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছেন। মামুন হত্যার তদন্তকালে ফারুক হত্যার ঘটনাটিতে আসামিদের জড়িত থাকার বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেছে।

আরএস

Link copied!