সিরাজদীখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
আগস্ট ১, ২০২৩, ০৮:০৭ পিএম
সিরাজদীখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
আগস্ট ১, ২০২৩, ০৮:০৭ পিএম
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান উপজেলার জৈনসার ইউনিয়নের ভবানীপুর বাজারের পশ্চিম পাশের রাস্তাটি পাকাকরনের এক বছর না পেরোতেই সেতুর সংযোগ সড়কের দুই পাশ ধ্বসে পড়েছে। এতে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে গ্রামবাসী।
তারা অভিযোগ করে বলেন, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সেতুর সংযোগ সড়কের সাপোর্ট দেওয়াল নির্মাণ করেছে ঠিকাদার। তাই এক বছর না পেরোতেই সংযোগ সড়কের দুই পাশ ধ্বসে পড়েছে। তাই দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসী। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে সংযোগ সড়কের দুই পাশ ধ্বসে পড়ার চিত্র দেখা গেছে। এতে যানবাহন চলাচলের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জানা যায়, প্রায় ২ মাস আগে সেতুর সংযোগ সড়কের দুই পাশ ধ্বসে পড়ে, এরপর থেকেই মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেয়নি ইউপি সদস্য-ইউপি চেয়ারম্যান বা উপজেলা প্রকৌশলীর অফিস। এতে ভাঙ্গা অবস্থায় পড়ে রয়েছে সেতুর সংযোগ সড়কটি। এর ফলে যেকোনো সময় বড় ধরনের যানবাহন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই গ্রামবাসী দ্রুত মেরামত করার দাবি জানিয়েছেন।
ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা মো.নজরুল বলেন, এক বছর না পেরোতেই চলতি বৃষ্টির মৌসুমে রাস্তার অনেক স্থানে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এছাড়া সেতুর দুই পাশ ভেঙে গেছে। এখন পর্যন্ত ঠিকাদার এটা মেরামত করেনি। চেয়ারম্যান-মেম্বাররাও কোনো উদ্যোগ নেয়নি। আমাদের দুর্ভোগ নিয়ে চলতে হচ্ছে।
ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘ দুই মাসের উপরে সেতুর সংযোগ সড়কের দুই পাশে ভেঙে পড়ে রয়েছে। কেউ মেরামত করছে না, যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা চাই দ্রæত প্রশাসন এটা মেরামত করে দিবে এটাই আমাদের দাবি।
অটোরিকশা চালক ইব্রাহিম হাওলাদার বলেন, ৭ মাস আগে রাস্তাটি পাকা করেছিল, এখন রাস্তাটির অনেক স্থানে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এছাড়া সেতুর দুই পাশ ভেঙে গেছে। এতে করে আমাদের চলাচলের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আমরা চাই দ্রুত এটা মেরামত করে দিবে প্রশাসন।
জৈনসার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আনিস বেপারী বলেন, ভবানীপুর বাজারের পশ্চিম পাশের সড়কের উপরে সেতুর সংযোগ সড়কের দুই পাশ ধ্বসে গেছে। এতে করে অনেক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমি এ বিষয়ে চেয়ারম্যান সাহেবকে জানিয়েছি। এছাড়া উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারকেও জানিয়েছি, তারা দ্রæত ব্যবস্থা নিবেন বলে আমাকে জানিয়েছে।
এ বিষয়ে একাধিকবার উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. রেজাউল ইসলামের কাছে তথ্য জানার জন্য গেলেও তিনি কোনো তথ্য দেননি। তিনি বলেছেন দ্রুত ঠিকাদার রাস্তার সংস্কার কাজ করে দিবে। তাই সংবাদ প্রকাশের দরকার নেই।
আরএস