কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
আগস্ট ৮, ২০২৩, ০৪:৫৭ পিএম
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
আগস্ট ৮, ২০২৩, ০৪:৫৭ পিএম
পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকেই পর্যটকদের আগমন বেড়েছে সাগর কন্যা কুয়াকাটায়। আর ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকরা দিনরাত সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে সরগরাম থাকে। প্রায়শই এসব আগত পর্যটকরা অসুস্থ হয়ে হলেও সঠিক সময়ে পাচ্ছে না প্রয়োজনীয় ঔষধ।
সৈকতের কাছাকাছি এলাকায় কোন ঔষধ বিক্রির দোকান না থাকায় বিভ্রান্তিতে পড়তে হচ্ছে পর্যটকদের। তাই, ২৪ ঘন্টা ফার্মেসী সেবা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন পর্যটকসহ স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, একই স্থানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার মনোরম দৃশ্য দেখতে দেশের দূর-দূরান্ত থেকে ভ্রমণ পিপাসুরা ঘুরতে আসেন কুয়াকাটায়। এ সকল পর্যটকদের সুবিধার্থে সব ধরনের সেবা নিশ্চিতে সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে কুয়াকাটার সমুদ্র সংলগ্ন বেড়িবাঁধ সংষ্কারসহ একাধিক প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। এসকল প্রকল্পের কাজ শেষ হলে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত আন্তর্জাতিক মানের একটি বিচ পয়েন্ট হিসেবে বিশ্ব দরবারে পরিচিত হবে বলে মনে করছেন পর্যটকরা।
অথচ এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্রে ২৪ ঘন্টা ঔষধ সেবা থেকে বঞ্চিত থাকবে পর্যটকরা বিষয়টি যেনো সম্পূর্ণ বেমানান। জরুরি প্রয়োজনের সময় প্রায় কোয়াটার মাইল পথ অতিক্রম করে ঔষধের ফার্মেসীতে যেতে হচ্ছে আগত পর্যটকদের। যা তাদের কাছে একটি ভোগান্তির বিষয়। তাই, কুয়াকাটার সৈতক পয়েন্টের কাছাকাছি ২৪ ঘন্টা ফার্মেসী ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।
এদিকে আগত পর্যটক সোহেল বলেন, সৈকতে নেমেছি, হঠাৎ করে একটু অস্বস্তিকর অবস্থা মনে হয়েছে। ভাবলাম এখান থেকে উঠে কোন এক ফার্মেসী থেকে ঔষধ নিবো। কিন্তু ধারে কাছে কোন ঔষধের দোকান পেলাম না। বাধ্য হয়ে কোয়াটার কিলোমিটার পথ হেটে ঔষধ কিনলাম। সৈকত লাগোয়া একটি ফার্মেসী থাকলে এ ভোগান্তিতে পরতে হতো না।
অপর এক পর্যটক রফিকুল বলেন, বাড়ি থেকে পেশারের ঔষধ আনতে ভুলে গিয়েছিলাম। সারাদিন কুয়াকাটার বিভিন্ন পয়েন্টে ঘুরে রাতে যখন হোটেলে ঘুমাতে আসলাম ঠিক সেই মুহূর্তে প্রেসারের ঔষধের কথা মনে পড়েছে। কিন্তু বাহিরে কোন ঔষুধের দোকান না পেয়ে সারারাত অসুস্থির মধ্যেই কাটাতে হলো।
পটুয়াখালী ঔষধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক সিকদার কামরুল ইসলাম বলেন, পর্যটকদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কুয়াকাটার বিচ পয়েন্ট এলাকায় ২৪ ঘন্টা ফার্মেসী ব্যবস্থা চালু করা উচিত। এক্ষেত্রে কোন ব্যবসায়ী এগিয়ে আসলে তাকে ঔষধ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগীতা করা হবে। তবে, কুয়াকাটার জিরো পয়েন্ট থেকে বিচ পয়েন্ট এলাকায় একটি দোকানের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা দেয়ার বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দৃষ্টি কামনা করেন।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. নূর কুতুবুল আলাম বলেন, কুয়াকাটাকে নিয়ে সরকারের একটি মাষ্টার প্লান রয়েছে। সেখানে কোথায় ফার্মেসী হবে তার দিক নির্দেশনা দেয়া আছে। তবে, এবিষয়ে জেলা প্রশাসনের কিছু করণীয় থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এআরএস