সঞ্জয় ব্যানার্জী, দশমিনা (পটুয়াখালী)
আগস্ট ১৩, ২০২৩, ০৪:০৬ পিএম
সঞ্জয় ব্যানার্জী, দশমিনা (পটুয়াখালী)
আগস্ট ১৩, ২০২৩, ০৪:০৬ পিএম
পানি কচু চাষে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন পটুয়াখালীর প্রান্তিক চাষিরা। পানি কচুতেই সুদিন ফিরিয়েছেন তারা। অল্প সময়ে এবং অল্প পরিশ্রমে অধিক লাভবান হওয়া যায় এমন একটি ফসল পানি কচু।
পানি কচু চাষ করেই পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার অনেক প্রান্তিক চাষি সংসারে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের দেখা পেয়েছেন। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সমৃদ্ধ বলে সবজি-তরকারি হিসেবে পানি কচুর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন জাতের কচুর চাষ হলেও খাবার উপযোগী সাদা জাতের কচুতে হাসি ফুটছে স্থানীয় অনেক চাষির। নিচু জমিতে পানি কচু চাষে অল্প পরিশ্রমে কচুর অধিক ফলন পাওয়া যায়। এ ছাড়াও বাজারে ভালো দামে বিক্রি করা যায় বলে জানিয়েছেন চাষিরা।
দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের গছানী গ্রামের চাষি কাজী মোহাম্মাদ হোসেন জানান, ৩০ শতাংশ জমিতে আড়াই হাজার চারা রোপন থেকে বিক্রির উপযোগী পর্যন্ত খরচ করেছি ১৩ হাজার ৩শ’ টাকা। গত ৩ থেকে ৪ দিনে প্রায় শতাধিক কচু বাজারে বিক্রিতে ১হাজার সাড়ে ৯শ’ টাকা হয়েছে। আমার প্রায় সাড়ে ২৪ হাজার টাকা লাভ হবে। আমি গত বছর ১০ শতাংশ জমিতে পানি কচু চাষ করে খরচ বাঁধে ১১ হাজার টাকা লাভ হয়েছে।
অপরদিকে, উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আদমপুর গ্রামের পানি কচু চাষি সুলদান সরদার জানান, এটি এমন একটি ফসল যা থেকে অল্প সময়ে অধিক লাভবান হওয়া যায়। তেমন একটা খরচ এবং পরিশ্রম ছাড়াই জমিতে দুয়েকটা নিড়ানি ও জৈব সার দিলে এর ফলনে লাভ বেশি হয়। এবার তিনি ৩৩ শতাংশ জমিতে কচু চাষ করেছেন। কিছু দিন আগে এই জমির অর্ধেক কচু তুলে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেছেন। আর জমির বাকি কচু আরও ভালো দামে বিক্রি এবং ওই জমি থেকে প্রায় ১২হাজার টাকা আয় হবে বলে তিনি আশাবাদী।
এবিষয়ে দশমিনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহম্মাদ জাফর আহম্মেদ জানান, কচুশাক একটি বিষমুক্ত সবজি। কচুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন আছে। এ উপজেলায় দিন দিন কচু চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। কচু চাষিদের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে তাদের সবধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
এআরএস