বরিশাল ব্যুরো
আগস্ট ১৪, ২০২৩, ০৪:২৮ পিএম
বরিশাল ব্যুরো
আগস্ট ১৪, ২০২৩, ০৪:২৮ পিএম
বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে একজন বরিশালের গৌরনদী উপজেলার, দুই জন ভোলার ও একজন বরগুনা সদরের বাসিন্দা। এ সময়ের মধ্যে আরো ৩০১ জন নতুন রোগী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
সোমবার (১৪ আগষ্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মৃতরা হলেন, বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার কৌশল্লা রানী (৬৫), ভোলার আনোয়ারা (৬৫), ছনিয়া (২৩) ও বরগুনা সদর উপজেলার আব্দুল ওহাব (৯১)।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৩ জন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। এছাড়া ছনিয়া ভোলা সদর হাসপাতালে মারা গেছেন। এদিকে সোমবার পর্যন্ত গোটা বিভাগের ৬ জেলার সরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ১০২৫ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৩০১ জন ডেঙ্গুরোগীর মধ্যে সবথেকে বেশি ৬৪ জন বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া ২৮ জন পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এছাড়া বরিশাল জেলার অন্যান্য সরকারি হাসপাতালে ৫৯ জন, পটুয়াখালীতে ৩২ জন, ভোলায় ২৬ জন, পিরোজপুরে ৫৮ জন, বরগুনায় ২৩ জন ও ঝালকাঠিতে ১১ জন ডেঙ্গুরোগী গেলো ২৪ ঘন্টায় ভর্তি হয়েছেন।
এছাড়া চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল বিভাগের হাসপাতালগুলোতে ৯ হাজার ৩২৪ ডেঙ্গুরোগী ভর্তি হয়েছেন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮ হাজার ২৭৬ জন। এদিকে চলতি বছর গোটা বিভাগে ২৩ জন ডেঙ্গুরোগীর মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ জন, বরগুনা হাসপাতালে ২ জন, পিরোজপুরে ২ জন এবং ভোলা সদরের ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ দাস বলেন, ডেঙ্গু রোধে সচেতনতাই জরুরি। মানুষ সচেতন না হলে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কমানো যাবে না। এছাড়া বিভাগের সব সরকারি হাসপাতালগুলোতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ডেঙ্গুরোগীদের গুরুত্ব দিতে।
এইচআর