Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪,

কিশোরগঞ্জে মশার উপদ্রব, বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী

আশরাফুল ইসলাম তুষার, কিশোরগঞ্জ

আশরাফুল ইসলাম তুষার, কিশোরগঞ্জ

আগস্ট ২৮, ২০২৩, ০৪:৫৬ পিএম


কিশোরগঞ্জে মশার উপদ্রব, বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী

চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত ১ হাজার ৪২

গত ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ২৬ জন

বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি ৯৫

কিশোরগঞ্জে মশার উপদ্রবের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। মশার কামড়ে মানুষের যন্ত্রণার যেন শেষ নেই। পৌর কর্তৃপক্ষ মশা নিধনের জন্য কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি বলে জানিয়েছে পৌর এলাকার বাসীন্দারা।

এদিকে কিশোরগঞ্জে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই। সরকারি হিসাবেই এ পর্যন্ত কিশোরগঞ্জে ১ হাজার ৪২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। বেসরকারি হিসাবে এ সংখ্যা আরও বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পৌরবাসী বলছে, শহরের বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। ঝোপঝাড়, জঙ্গল, নালাগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করায় মশার উপদ্রব বেড়েই চলেছে।নালায় জমে থাকা পানি থেকে জন্ম নিচ্ছে মশা। মশার আক্রমণ থেকে বাঁচতে দুপুর থেকেই কয়েল জ্বালানো অথবা মশা নিধনের ওষুধ স্প্রে করতে হচ্ছে।

পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখা হয়েছে। অনেক এলাকার ঝোপঝাড়, জঙ্গল, ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করায় মশার উপদ্রব বাড়ছে। ড্রেনগুলোতে পানিপ্রবাহ না থাকায় ময়লা- আবর্জনা জমে আছে। অনেক এলাকার ড্রেন লাইনের ঢাকনা নেই।

শোলাকিয়া এলাকার বাসিন্দা আরমান জামিল জানান,তাদের এলাকায় প্রতিটি বাড়িতেই প্রচুর মশা।দিনেও মশা, রাতেও মশা।পৌর কর্তৃপক্ষ এই বছরে একদিন রাস্তায় ফগার মেশিন দিয়ে ওষুধ দিয়েছিল।তারপর আর মশার ওষুধ দেয় নি।মশার কামড়ে তার ছোট ছেলেও জ্বরে আক্রান্ত বলে জানান তিনি।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, চলতি বছর এ পর্যন্ত ১ হাজার ৪২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছে ৯৪৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে ভর্তি হয়েছে ২৬ জন রোগী। এখন পর্যন্ত ভর্তি আছে ৯৫ জন।

সিভিল সার্জন ডা:সাইফুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু বিস্তার রোধে কাজ করছে সবাই। মশা মারা বা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার কাজ পৌরসভার। ব্যক্তি পর্যায়েও এর উদ্যোগ নেওয়া উচিত। তারা মানুষকে সচেতন করার জন্য কাজ করছেন। ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসার সকল ব্যবস্থা ও প্রয়োজনীয় ওষুধপথ্যও আছে বলে জানান তিনি।

কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পারভেজ মিয়া বলেন,পৌর এলাকার ঝোপঝাড়, জঙ্গল,ড্রেনসহ যে নালাগুলো আছে সেগুলো তারা পরিষ্কার-পরিছন্ন রাখার চেষ্টা করেন। সাধারণ মানুষ যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখে।পরিছন্নতাকর্মীরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি জানান, পৌরসভায় ৮ টি ফগার মেশিন রয়েছে। এরমধ্যে সবগুলি মেশিন সচল আছে তা দিয়ে মশা নিধনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মশা নিধনের জন্য যথেষ্ট বরাদ্দ আছে বলেও জানান তিনি।

এআরএস

Link copied!