মামুনুর রশিদ, চট্টগ্রাম ব্যুরো
আগস্ট ২৮, ২০২৩, ০৫:০৫ পিএম
মামুনুর রশিদ, চট্টগ্রাম ব্যুরো
আগস্ট ২৮, ২০২৩, ০৫:০৫ পিএম
চট্টগ্রামে একটি নিয়ম প্রচলিত আছে দুর্ঘটনায় মানুষ মারা না যাওয়া পর্যন্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষে গ্রহণ করেন না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। একইভাবে চট্টগ্রাম বন্দরে এমনটা হতে যাচ্ছে।
চট্টগ্রাম বন্দরে বিপদজনক রাসায়নিক ক্যালসিয়াম কার্বোনেট, ফিনিশিং এজেন্ট, কেমিক্যাল, পলিথিন গ্লাইকল, সোডিয়াম বেনটোনাইট, অ্যামোনিয়াম সল্যুশন লবণ, সার, এসিড, কেমিক্যাল জাতীয় পণ্য থাকা কনটেইনারের জট দীর্ঘদিনের। বন্দর কর্তৃপক্ষ কাস্টমের দোহাই দিচ্ছে আর কাস্টমস কনটেইনার সরানোর বরাদ্দ না পাওয়ার কথা বলছে। এইভাবে বাড়ছে কনটেইনার। যে কোন সময় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটবে। এতে বড় ধরনের প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর বলেন, নিয়মিত কাস্টমসে চিঠি দিই। কাস্টমস কাজ করছে দাবি তাঁর। তবে কাস্টমস একটি সূত্র বলছে, যথাযথ বরাদ্দ না পাওয়া কনটেইনার সরাতে পারছেনা। তবে ১২১টি কনটেইনারের মধ্যে এসিড ও কেমিক্যাল বোঝাই ৫৪টি কনটেইনার সিলেটের ছাতকের লাফার্জ হোলসিমের জিও সাইকেল প্ল্যান্টে ধ্বংস করা হবে। এ জন্য সরকারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ধ্বংস কার্যক্রমের জন্য একটি কমিটি কাজ করছে।
গত বছর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নৌ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে রাসায়নিক পণ্য অপসারণে ধীরগতির পেছনে কাস্টমসকে দায়ী করেন। চিঠিতে বলা হয়, নিলামের জন্য পণ্য শুল্ক বিভাগকে হস্তান্তর করা হলেও বাস্তবে নিলামযোগ্য পণ্য বন্দর অভ্যন্তরে থেকে যায়। এতে বন্দরে পণ্যজট সৃষ্টি হয় এবং স্বাভাবিক অপারেশন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়, যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এসব পণ্যের মধ্যে বিপজ্জনক পণ্য ও পণ্যবাহী কনটেইনারও রয়েছে। চিঠিতে প্রতি মাসে ন্যূনতম ৪-৫টি ই-অকশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিপজ্জনক পণ্যের নিলাম কার্যক্রম সম্পন্ন করতে এনবিআরের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
তিন সুপারিশ: প্রতিবেদনে অগ্নি ঝুঁকি হ্রাসে ৩টি সুপারিশ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে-নিলাম অযোগ্য ঝুঁকিপূর্ণ ও অন্য ধ্বংসযোগ্য পণ্য বিনষ্ট করতে গঠিত কমিটির কাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে সরকারের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন করতে পারে। কাস্টমসের নিলাম শাখায় জনবল বৃদ্ধির সুপারিশও করা হয়। এ লক্ষ্যে নিলাম শাখায় পদায়িত কর্মকর্তাদের ধ্বংস ও নিলাম কাজে সম্পূর্ণভাবে নিয়োজিত রাখতে এনবিআর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়।
পাশাপাশি বন্দরের পি কেমিক্যাল শেডসহ সব শেড ও ইয়ার্ডে মেয়াদোত্তীর্ণ ধ্বংসযোগ্য রাসায়নিক পণ্য স্বল্প ব্যয়ে ও পরিবেশবান্ধব উপায়ে নিয়মিতভাবে ধ্বংস করতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সমন্বয় করে সুবিধাজনক স্থানে একটি জিও সাইকেল প্ল্যান্ট স্থাপন করার সুপারিশ করা হয়।
এআরএস