Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

চাটমোহরে পাটের দাম কম, লোকসানে চাষিরা

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি

সেপ্টেম্বর ২, ২০২৩, ০১:৫০ পিএম


চাটমোহরে পাটের দাম কম, লোকসানে চাষিরা

চলতি মৌসুমে পাটের চাষ করে লোকসানের মুখে পড়েছেন পাবনার চাটমোহর উপজেলার চাষিরা। বাজারে পাটের যে দর পতন, তাতে লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের। গত দুই মৌসুমে পাটের ভালো দাম পেলেও, এবার কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে দুশ্চিন্তায় চাষিরা। পাট বিক্রি করে খরচের টাকা উঠানো কঠিন। চলতি বছর পাটের বাজারমূল্য গত বছরের তুলনায় অনেক কম হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন কৃষকেরা।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাটের দাম প্রতি মণে গড়ে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কমেছে। এতে লোকসানে পড়েছেন চাষিরা। পাটের বীজ বপন থেকে শুরু করে আঁশ ছাড়িয়ে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা পর্যন্ত যে খরচ হয় তাতে করে বর্তমান বাজারদরে পাট বিক্রি করলে লোকসানের মুখে পড়তে হবে চাষিদের। এমনটাই আশঙ্কা করছেন উপজেলার সাধারণ কৃষকরা।

পাটের ফলন মৌসুমের শুরু থেকে বাজারে দাম ছিল মণ প্রতি ২ হাজার ৬০০ টাকা থেকে ৩ হাজার ১০০ টাকা । বর্তমানে এ সপ্তাহে পাটের বাজারদর কমে ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ৭শ পর্যন্ত কেনাবেচা  হচ্ছে।

কৃষকেরা বলছেন, মাসখানেক আগে বাজারে ওঠা  নতুন পাট ২ হাজার ৬০০ থেকে ৩হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে পাটের দাম কমছে। বর্তমান পাটের দাম কমতে কমতে ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকার মধ্যে নেমে এসেছে। এ অবস্থায় তাঁদের উৎপাদন খরচ তুলতে বেগ পেতে হচ্ছে।

উপজেলার হান্ডিয়ালের পাট চাষি রায়হান আলী বলেন, ‍‍`গত বছর প্রতিমণ পাট ৩ হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। আশা করেছিলাম এ বছর প্রতিমণ পাট ৩ হাজার ৫০০ টাকা দরে বিক্রি করতে পারব। কিন্তু দর কমে যাওয়ায় এ বছর প্রতিমণ পাট গড়ে প্রায় ১ হাজার টাকা কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।‍‍`

স্থানীয় কৃষক মো. মন্টু মিয়া বলেন, পাট ঘরে তুলতে যে খরচ হয় তাতে করে বর্তমান দাম অনুযায়ী বিক্রি করে খরচ উঠানো যাচ্ছে না, লোকসানে পড়তে হচ্ছে। এভাবে বাজারে দাম কমে গেলে আমাদের মতো কৃষকেরা ক্ষতির মুখে পড়বে। আমরা ফসল ঘরে তুলে মজুদ করতে পারি না। টাকার প্রয়োজনে বিক্রি করতেই হয়।

উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের বাহের আলী বলেন, পাটের ফলন ভালো হয়েছে। কিন্তু বাজারে দাম কমে যাওয়ায় লোকসানের ভয়ে বিক্রি করতে পারছি না।  মজুদ করার মতো জায়গাও নেই আমাদের।

পাট ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, তাঁদের কাছে এখনো গত বছরের পাট রয়েছে। এ জন্য তাঁরা আগ্রহ দেখাচ্ছেন কম। এ ছাড়া বাজারে পাটের সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কমেছে।
শিমুল/এআরএস

Link copied!