Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪,

করতোয়ায় নৌকাবাইচ দেখতে মানুষের ঢল

ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৩, ০৭:০৯ পিএম


করতোয়ায় নৌকাবাইচ দেখতে মানুষের ঢল

বহমান করতোয়া নদীতে পানির স্রোত। মাঝে দুটি নৌকায় বসে থাকা মাঝিদের হাতে থাকা বৈঠায় পানিতে থইথই শব্দ। প্রতিযোগিতা চলছে সবার আগে গন্তর্ব্যে পৌঁছানো। চারপাশে দর্শকদের আনন্দ উচ্ছাস। এমন আনন্দঘন পরিবেশে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল গ্রাম বাঙলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ খেলা।

শনিবার বিকেলে উপজেলার ১নং বুলাকীপুর ইউনিয়নের করতোয়া নদীর ঘাটে এই খেলার আয়োজন করে কৃষ্ণরামপুর মাটিয়াল পাড়া যুব সমাজ। কৃষ্ণরামপুর ফাজিল মাদ্রাসার সভাপতি আহসানুল হাবীবের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে খেলার উদ্বোধন করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দিনাজপুর-৬ আসনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী আব্দুর রাফে খন্দকার শাহানসা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বুলাকীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সদের আলী খন্দকার।

নদীটির একপ্রান্তে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা। অপরপাশে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা। ঐতিহ্যবাহী এ খেলা দেখতে নদীর দুইপ্রান্তে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে কয়েক হাজার নারী-পুরুষ ও শিশু উপস্থিত হয়। বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতে মিলন মেলায় রূপ পায় নদীর দু’পাশ। নৌকায় একই রঙের পোশাক পড়ে বৈঠা চালানোর পাশাপাশি ‘হৈ, হৈয়া’ শব্দে দর্শকদের মাঝে উত্তেজনা বাড়াতে থাকে।

খেলায় চারটি দল নিজেদের নৌকা নিয়ে অংশ গ্রহণ করে। খেলা শেষে সূর্যের আলো প্রথম এবং চাঁদের আলো দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে। পরে প্রথম স্থান অধিকার করা দলের হাতে গরু এবং দ্বিতীয় স্থান করা দলের হাতে ছাগল তুলে দেন অতিথিরা।

দেখা দেখতে আসা গৃহবধূ হাবিবা আক্তার বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর নৌকা বাইচ খেলা দেখতে এসেছি। ছোট বেলায় দেখেছিলাম। দীর্ঘদিন পর এই খেলা দেখতে পেরে অনেক ভালো লাগছে।’

পঞ্চাশোর্ধ্ব বৃদ্ধ তবিবর রহমান নদীর কিনারায় দাঁড়িয়ে খেলা দেখছিলেন। তিনি বলেন, ‘আগে প্রতি বছর নৌকা খেলা হওছিল। খেলা মানেই গাঁয়েত (গ্রামে) মেলা লাগছিলো। বেটি-জামাইয়েক দাওয়াত দেওয়া। কি যে আনন্দ। এখন আর আগের মত দেখা যায় না।’

খেলার আয়োজক কমিটির সদস্য ইনসান আলী বলেন, ‘হারাতে বসা নৌকা বাইচকে উজ্জীবিত করতে আমাদের আজকের এই আয়োজন। কল্পনাও করতে পারিনি যে এত মানুষের সমাগম ঘটবে। আগামীতেও আমরা প্রতিবছর গ্রাম বাঙলার এই খেলার আয়োজন করবো।’

লোটাস/এআরএস

Link copied!