Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৪,

ঈশ্বরদীতে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৩, ০৭:৫৫ পিএম


ঈশ্বরদীতে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা

পাবনার ঈশ্বরদীতে বীণা বেগম (৪৭) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রোববার গভীর রাতে ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের মসজিদ মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক স্বামী ওমর আলী কাজী (৫৫) ও প্রথম স্ত্রী মোছা. রাজিয়া খাতুন (৫০) কে গ্রেপ্তার করেছে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ। গভীর রাতে হত্যাকাণ্ডের পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল রোববার বিকালে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বীণা বেগম সাহাপুর মসজিদ মোড় এলাকার মৃত হাবিবুর রহমানের মেয়ে।

পুলিশ, এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনরা জানান, পার্শ্ববর্তী লালপুর উপজেলায় জনৈক এমদাদুল হকের সঙ্গে বীণা বেগমের প্রথম বিয়ে হয়। সেখানে বীণারে এক ছেলে ও মেয়ে রয়েছে।  স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় কয়েক বছর আগে উভয়ের ছাড়াছাড়ি হলে বীণা সাহাপুরে বাবার বাড়ির পাশেই বাড়ি করে বসবাস করতেন। এরইমধ্যে বছর খানেক আগে একই এলাকার ওমর আলী কাজীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে বীণার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। কাজী ওমরের এটি তৃতীয় বিয়ে। তার এক স্ত্রীর সাথে ছাড়াছাড়ি হলেও ঘরে আরেক স্ত্রী রয়েছে। স্ত্রী থাকা অবস্থায় সে বীণাকে তৃতীয় বিয়ে করে। তবে বিয়ের পর বীণা নিজ বাড়িতেই থাকতো। ওমর আলী কাজী ওই বাড়িতে যাতায়াত করতো। এসব নিয়ে সংসারে তীব্র অশান্তির সৃষ্টি হলে ওমর আলী কাজী বীণাকে তালাক দেয়। তালাকের নোটিশ পেয়ে বীণা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে বিচার দিয়ে শনিবার সকালে ওমর আলী কাজীর বাড়িতে গিয়ে তালাক দেওয়ার কারণ জানতে চায়। সেখানে ঝগড়াঝাটির এক পর্যায়ে বীণা বেগম তার সাবেক স্বামী ওমর আলী কাজী ও তার প্রথম স্ত্রী রাজিয়া বেগম লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে হত্যা করে খড়ির ঘরে লাশ লুকিয়ে রাখে। পরবর্তীতে রাতে নিহত বীণার আত্মীয় স্বজন ও প্রতিবেশীরা হত্যাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ঈশ্বরদী থানা পুলিশে খবর দেয়।

পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে গভীর রাতে লাশ উদ্ধার করে হত্যাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক স্বামী ওমর আলী কাজী (৫৫) ও প্রথম স্ত্রী মোছা. রাজিয়া খাতুন (৫০) কে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানায় ঈশ্বরদী থানা পুলিশ।

ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, হত্যাণ্ডের ঘটনায় নিহত বীণা বেগমের মেয়ে ইসরাত জাহান বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে। সেই মামলাতেই আসামীদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে পাবনা আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
এআরএস

Link copied!