ডামুড্যা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি
সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৩, ০৮:৫২ পিএম
ডামুড্যা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি
সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৩, ০৮:৫২ পিএম
শরীয়তপুরের ডামুড্যায় বিয়ের দাবিতে আক্তার হোসেন নামের এক স্কুলশিক্ষকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন এক নারী (৩৪)।
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে উপজেলার ধানকাঠি ইউনিয়নের চরপাতালিয়া এলাকার ৫৫ নম্বর বাহেরচর হাওলাদারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আক্তার হোসেনের বাড়িতে অবস্থান নেন ওই নারী। এ ঘটনার পর থেকে আক্তার হোসেন পলাতক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্কুলশিক্ষক আক্তার হোসেন আর ওই নারী সম্পর্কে দেবর-ভাবি। তাদের মধ্যে আট মাস ধরে পরকীয়ার সম্পর্ক চলে আসছে। পরে একাধিকবার তারা শারীরিক সম্পর্কে জড়ান। তবে বিয়েতে অস্বীকৃতি জানালে বাড়িতে এসে অবস্থান নেন ওই নারী।
ভুক্তভোগী নারীর ভাষ্যমতে, তার স্বামী প্রবাসে থাকেন। তার বাচ্চাদের পড়াশোনার অজুহাতে আক্তার প্রায়ই বাড়িতে যাতায়াত করতেন। একপর্যায়ে জোর করে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন আক্তার হোসেন। শারীরিক সম্পর্কের ওই ভিডিও ধারণ করে প্রায়ই তাকে ব্ল্যাকমেইল করে বাড়িতে নিয়ে যেতেন তিনি। একপর্যায়ে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকায় নিয়ে তার এক ভাইয়ের বাসায় ফেলে রেখে চলে যান আক্তার হোসেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে ওই নারীর স্বামী তাকে ডিভোর্স লেটার পাঠান। এরপর থেকেই আক্তার হোসেন তাকে এড়িয়ে চলা শুরু করলে বাধ্য হয়ে তার বাড়িতে অবস্থান নেন ভুক্তভোগী নারী। তাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যার হুমকি দেন ওই নারী।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে শিক্ষক আক্তার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
আক্তার হোসেনের মা ফাতেমা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে বাড়িতে নেই। কোথায় গেছে তাও জানি না। ওদের সম্পর্কে আমি কিছু শুনিনি। হঠাৎ করেই এ মেয়ে আমাদের বাড়িতে এসে অবস্থান নিয়েছে।’
বাহেরচর হাওলাদারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বশির আহমেদ বলেন, ‘আক্তার হোসেন বৃহস্পতিবার থেকে তিনদিনের ছুটি নিয়েছেন। এরপর আর স্কুলে আসেননি। পরে শিক্ষা অফিস থেকে জানতে পারি তিনি ১৫ দিনের ছুটি নিয়েছেন।’
ধানকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মাওলা রতন বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা সালিশ-বৈঠকে বসেছিলাম। তবে ছেলে বিয়েতে রাজি নয় বলে কোনো সমাধানে আসতে পারিনি।
এ বিষয়ে ডামুড্যা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জালাল উদ্দিন বলেন, আক্তার হোসেন শারীরিক অসুস্থতা দেখিয়ে ১৫ দিনের ছুটি নিয়েছেন। তবে তার নামে নৈতিক স্খলনের একটি বিষয় জানতে পেরেছি। ভুক্তভোগী অভিযোগ দিলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
এআরএস