Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪,

জীবনের নিরাপত্তার চান কাউন্সিলর রুহুল আমিন

নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারী প্রতিনিধি

সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৩, ০৭:৩১ পিএম


জীবনের নিরাপত্তার চান কাউন্সিলর রুহুল আমিন

নীলফামারীতে জীবনের নিরাপত্তার চেয়ে ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জলঢাকা পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের  মৃত. নিজাম উদ্দিনের ছেলে দুই বারের কাউন্সিলর মো. রুহুল আমিন।

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জলঢাকা পৌরসভা অফিস কার্যালয়ের পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. রুহুল আমিনের আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলন রুহুল আমিন বলেন, আমার প্রতিবেশী আব্দুল্লাহ আল-মামুন(৩৪) এর নিকট হইতে খতিয়ান নং-এস, এ-৬৬, ডিপিঃ-৩৬৫ খারিজ খতিয়ান ১৬৪৭, দাগ নং-৩৯৯১৩ শতকের মাধ্য হইতে ০.৫ শতাংশ জমি বিক্রয়ের লক্ষ্যে আবুল কালাম আজাদ সরকার কর্তৃক ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা সমুদয় মূল্যে ২০১৬ সালের ২০ সেপ্টম্বর  সম্পাদন করা হয়।

সম্পাদনের সাতদিন পর রেজিস্ট্রি অফিসে এসে সাব কবলা করে দিবে বলে অঙ্গীকার করেন। পরবর্তীতে তিনি সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে উপস্থিত হলেও অসুস্থতার ভ্যান করে অফিস থেকে কেটে পড়েন। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের ২০ সেপ্টম্বর তারিখে মৃত. অফিসার রহমানের ছেলে মো. হালিমুর রহমানকে দলিল সাবরেজিষ্ট্রি করে দেয়। যা আমার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, তৎকালীন জলঢাকা পৌরসভার মেয়র ফাহমিদ ফয়সাল কমেট চৌধুরী কাছে লিখিত অভিযোগ করি। সে অভিযোগের মূলে সালিস বসে সেখানে বলা হয় এক সপ্তাহের মধ্যে জমি দলিল করে না দিলে সম্পূর্ণ টাকা ফেরত দিবে। তবে টাকা ফেরত দিতে গড়িমসি করলে আমি থানায় এজাহার দায়ের করি যাহার মামলা নং-জিআর ৪৯/২৩ (জল) যা বিচারাধীন আছে। মামলা থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য আমার পরিবারের উপরে আদালতে মিথ্যা মামলা করে আব্দুল্লাহ আল মামুন।

গত ৪ আগস্ট তারিখে রাতে স্থানীয় একটি  সালিস শেষে বাড়ি ফিরার সময় ধওলার বাজার নামক স্থানে ক্যানেলের ব্রিজের উপরে আমার উপর অতর্কিত হামলা চলায়। আমি চিৎকার করলে এলাকাবাসি এসে আমাকে উদ্ধার করে এবং পুলিশ এসে ২ জনকে আটক করে। গত ৪ সেপ্টেম্বর ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ সম্মেলন করেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। আজ আমি আমার পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে পরিবার বর্গ  নিয়ে শঙ্কিত এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি। আমি এর ন্যায় বিচার চাই।

রুহুল আমিনের এলাকাবাসী মতিউর রহমান ও আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন একজন মাদকসেবী। সে বগুলাগাড়ীর ভ্যানচালক আবু তালেবকে হত্যা করে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাইসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জলঢাকা পৌরসভার প্যালেন মেয়র-২ আব্দুল মান্নান, ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মন্টু, ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফজলুল হক, ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

এআরএস
 

Link copied!